টুইটারে মডারেশন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ‘কাউন্সিল’ গঠনের কথা জানিয়েছেন কোম্পানিটির নতুন মালিক ইলন মাস্ক।
“এই কাউন্সিলে থাকবে দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্য। কাউন্সিলের সম্মতি ছাড়া কনটেন্ট বিষয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত বা নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্ট ফেরানো হবে না।” --শুক্রবার এক টুইটে বলেন মাস্ক।
এর বেশ কয়েক ঘণ্টা পর আরেকটি টুইটের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন তিনি।
পুরোপুরি পরিষ্কার করে বললে, আমরা এখনও টুইটারের কনটেন্ট মডারেশন নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আনিনি।
টুইটার কেনার যুক্তির অংশ হিসেবে মাস্ক একাধিকবার বলেছেন, একে তিনি একটি ‘বাক স্বাধীনতা’র প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৈরি করতে চান। পাশাপাশি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্লাটফর্মে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
শুক্রবারের ঘোষণা থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, কাউন্সিলের হাতেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতে চান তিনি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কাউন্সিলে মাস্ক কী ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে চান, এতে কতোজন থাকবেন, তারা কীভাবে নিয়োগ পাবেন বা কোম্পানিতে বিদ্যমান কনটেন্ট মডারেশন ও নীতিমালা বিষয়ক বিভিন্ন দলের চেয়ে এটি কীভাবে আলাদা হবে, এইসব নিয়ে বিস্তারিত কিছুর উল্লেখ নেই টুইটে।
মাস্ক আগেই পরিষ্কার করেছেন, প্ল্যাটফর্মে প্রচলিত মডারেশন ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে তিনি একমত নন।
কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার পরপরই প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা বিষয়ক প্রধান ভিজায়া গাড্ডেসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তাকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করেন মাস্ক। কোম্পানিটি কেনা আগে প্রকাশ্যেই গাড্ডের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তিনি।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমও একই ধরনের উপায় খুঁজেছে। মেটার নিজস্ব একটি ওভারসাইট বোর্ড আছে, যেটির ফেইসবুক প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন নিয়ম ও মডারেশন বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করার কথা।