অবৈধ যান ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কুয়াকাটার হোটেল-রিসোর্টের বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা। এছাড়া এখন যারা কুয়াকাটায় রয়েছেন তারাও ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে চলে আসছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মোতালেব শরীফ।
তিনি বলেন, কুয়াকাটায় শুক্রবারকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ হোটেলে অগ্রিম বুকিং হয়ে থাকে। কিন্তু আগামী দুইদিন বাস ধর্মঘট থাকার কারণে এরইমধ্যে ৮০ শতাংশ রুম বুকিং বাতিল হয়েছে। আর এমন পরিস্থিতি পর্যটনকেন্দ্রগুলোর জন্য অশনিসংকেত হিসেবে কাজ করে। যার ভুক্তভোগী হন পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী ও কর্মচারীরা।
কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট, গঙ্গামতির সৈকত, সানসেট পয়েন্ট ঘুরে জানা যায়, অল্পসংখ্যক পর্যটক থাকলেও আজকের মধ্যেই তারা নিজ গন্তব্যে ফিরে যাবেন। আর এই ধর্মঘটের কারণে অলস দিন কাটাচ্ছেন সৈকতের দোকানিরা।
সাইদুর রহমান শাহিন নামে এক ট্যুর অপারেটর বলেন, আগামী শুক্রবার আমাদের একশো লোকের বুকিং ছিল। আজকে ফোন করে বাতিল করে দিলো। বাস ধর্মঘট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কুয়াকাটায় পর্যটক আসবে না।
আবাসিক হোটেল সাগরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ সাগর বলেন, আমাদের হোটেলে বেশিরভাগ সময়ই অগ্রিম বুকিং থাকে। কিন্তু আগামী দুইদিনের বুকিং এরইমধ্যে বাতিল হয়েছে এবং বর্তমানে কোনো পর্যটক হোটেলে নেই। আমরা এখন চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। তবে বাস ধর্মঘটের কারণে পর্যটকরা আসতে না পারায় বেকার হয়ে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার কর্মী।