× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মুহুরী সেচ প্রকল্প দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

ফেনী প্রতিনিধি

২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০৮ এএম

ফেনীর মুহুরী সেচ প্রকল্পের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য পর্যটনশিল্পের এক অপার সম্ভাবনা।জেলার সোনাগাজী উপজেলার নদীর পাড়ে সবুজ বনানী ঘেরা বঙ্গোপসাগরের উপকূলে চিত্তাকর্ষক এ নৈসর্গিক শোভা ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে শীতসহ সারা বছর ভ্রমন পিপাসু মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে বেড়াতে আসেন।শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে মায়াবী এই পরিবেশে বাড়তে থাকে পর্যটকদের সংখ্যাও।

ছুটির দিনসহ অন্যান্য বিশেষ দিবসে  জমে উঠে এ পর্যটন এলাকা। শীতকালে অতিথি পাখির আগমন ও তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা। এখানে যে আসে তাকেই নিঃস্বার্থভাবে মুগ্ধ করে এখানকার অপরূপ প্রকৃতি। নদীর পানিতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। তাই ভোর থেকে রাত অবধি ভ্রমণ পিপাসু মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন মুহুরী সেচ প্রকল্প এলাকায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সেচ প্রকল্প নির্মিত হয়। এ প্রকল্পের ৪০ গেট বিশিষ্ট রেগুলেটর ও ক্লোজার ড্যাম রয়েছে। এর ৫০০ গজ দূরে অবস্থিত দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

যা ৬ একর ভূমির ওপর ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৫ সালে স্থাপন করা হয়। এর ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নির্মিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধূ শিল্প নগর। মুহুরী নদীতে ভাসমান মাছ চাষ, নদীতে জাল ফেলে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, ডেইরি ফার্ম, নার্সারি ও এগ্রো খামারসহ ইত্যাদি চোখ জুড়ানো দৃশ্য পর্যটকদের আকর্ষন করার মতো।

খেটে খাওয়া মানুষ এ সেচ প্রকল্পকে ঘিরেই জীবিকা নির্বাহ করে। আবার কেউ কেউ জাল ফেলে সাগর থেকে ফেনী নদীতে ভেসে আসা চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করে। ফেনী জেলা পরিষদের স্বল্প পরিসরে অবকাঠামো তৈরি করে জেলা পরিষদ পার্ক ঘোষনা করলে আশানুরুপ হয়নি।

পর্যটন কেন্দ্র বা নগরী হিসেবে গড়ে ওঠার সকল সম্ভাবনা থাকলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বা ব্যক্তিগত উদ্যোক্তাদের সদিচ্ছার অভাবে কাঙ্ক্ষিত পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। নেই কোনো ভালো মানের হোটেল বা মোটেল।

তাই বিদেশি পর্যটক এখানে আসতে চান না। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আধুনিক একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে সরকারের এখান থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো।
 
স্থানীয় আবুল হোসেন মাসুদ জানান, সোনাগাজী পৌর শহর থেকে মুহুরী সেচ প্রকল্পে যাতায়াতের একমাত্র বাহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা। কিন্তু মুহুরী নদীর কোল ঘেঁষে যে পিচঢালা সড়ক সেটি দিয়ে যাত্রীবাহী পরিবহন যেমন বাস, মিনিবাস চলাচল সম্ভব। এছাড়া একটি পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হয়। তিন যুগের অধিক সময়েও প্রকল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই এখানে ছিনতাই হয়। আবার ভ্রমণের নাম করে কতিপয় লোকজনকে আপত্তিকর কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে দেখা যায়। এ অবস্থায় বিব্রত এলাকার মানুষ।  এলাকার উঠতি বয়সি বখাটে তরুণরা যুগলদের দেখলে সুযোগ বুঝে তাদের খারাপ মন্তব্য করেন।

এছাড়া, টাকা-পয়সা,গহনা, দামি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আবার কখনো নারী পর্যটককে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম বলেন এলাকা ও স্থাপনাগুলো মনোরমভাবে সাজানো ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। আর পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারলে এখানে অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

সোনাগাজী উপজেলা  চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় এ এলাকা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে  রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতো। সেচ প্রকল্প এলাকায়  দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার লোক প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে আসেন।

এ ব্যাপারে ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য  জেনারেল. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মুহুরী প্রকল্প এলাকাকে সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে ডিও লেটার প্রদান করা হয়েছে। আশাকরি খুব শিগগিরই পর্যটন এলাকা ঘোষণাসহ সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।




Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.