অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমেই এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে এটি।
এরই মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টেকানাফ ও সেন্ট মার্টিনে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। এছাড়াও টেকনাফে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, আর সেন্ট মার্টিনে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ও আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করলেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা।
সেন্ট মার্টিনের দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি ও বাতাস হচ্ছে সামান্য। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে দমকা হাওয়া বাড়তে শুরু করেছে। আজ রোববার সকালে দ্বীপটিতে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সকাল ৭টায় বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও বেড়েছে।’ তিনি জানান, ‘সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিও বেড়েছে।’
এই ঝড়ের কারণে গতকাল শনিবার সেন্ট মার্টিনের যেসব বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছিলেন, তাঁরা এখনো সেখানে রয়েছেন বলে জানান মুজিবুর রহমান।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
মধ্যরাতেই উপকূলে এই ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করে। এর ফলে রাতেই কক্সবাজার শহর, সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ ছাড়াও মহেশখালীকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।
সেন্ট মার্টিনের ১০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে অন্তত তিন হাজার বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ইতিমধ্যে টেকনাফের মূল ভূখণ্ডে চলে এসেছেন। গতরাত পর্যন্ত দ্বীপের ৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রশাসনের ঘোষিত ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছেন।