ঢাকা উত্তরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) গুলশান সেন্টারের যাত্রা শুরু করেছে। শনিবার সেন্টারের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরেই একটি কৃষি নির্ভর অর্থনীতি। কৃষিখাতের আধুনিকায়নের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের অর্থনীতির বিকাশ আরো বেগবান হবে।
দেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীলের পাশাপাশি উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকল্পে আমাদের এসএমই খাতের উপর আরো জোর দিতে হবে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন স্থাপিত ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’ ঢাকা চেম্বারের সদস্যদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজে সেবা দিতে সক্ষম হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপত বলেন, লজিস্টিক খাতে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি, তবে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে আমাদেরকে এখাতের উপর অরো মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসন এবং সমুদ্র বন্দরগুলোতে সেবার মান উন্নয়ন ও দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব হলে, ব্যবসায় ব্যয় কমবে, যা আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করবে।
দেশের সব চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে বেশি হারে খাতভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজের উপর আরো বেশি হারে জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ডিসিসিআইএর নিজস্ব অফিস স্পেসে স্থাপিত ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’ চেম্বারের সদস্যদের মেম্বারশিপ সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক তথ্য প্রাপ্তির উৎস স্থল হিসেবে কাজ করবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের এসএমই খাত অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এবং এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ও অর্থনীতিকে বেগবান করতে আমাদেরকে এখাতের আরো জোর দেওয়া প্রয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন ধন্যবাদ জানান।