শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর প্রথম কার্যদিবস মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় ২০০ পয়েন্ট। এতে ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। বেড়েছে লেনদেনের গতি। সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার সর্বোচ্চসীমা স্পর্শ করেছে।
দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও দেশব্যাপী অস্থিতিশীল অবস্থাকে ঘিরে । শেয়ারবাজারে মন্দা অবস্থা দেখা দেয়। তার আগে বিভিন্ন ইস্যুতে শেয়ারবাজারে মন্দা চলছিল। প্রায় চার মাস ধরে শেয়ারবাজার পতনের মধ্যে রয়েছে। পরিষ্কারভাবেই হাসিনা সরকারের শেষ সময়টা মোটেও ভালো যায়নি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে দেশে বিশাল অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় শেয়ারবাজারেও লেনদেন বন্ধ থাকে কিছুদিন। এমনকি পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকার কথা ছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব আন্দোলনের মুখে পড়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পর থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান শেখ হাসিনা।
আজ সকাল ১০টায় শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠান। এতে শুরুতেই সূচকের বড় উত্থান হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৮৩ শতাংশ বা ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৬০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে আজকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- টেকনো ড্রাগস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সিটি ব্যাংক, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এবং ফারইস্ট নিটিং।