ভারত সরকার
চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের
কেন্দ্রীয় সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রপ্তানিকারকরা বাসমতি ছাড়া অন্য সব ধরনের
চাল রপ্তানি করতে পারবেন।
এ সিদ্ধান্তকে
‘সাহসী’ মন্তব্য করে ভারতের চাল রপ্তানি কোম্পানি রাইস ভিলার শীর্ষ
নির্বাহী সুরজ আগার ওয়াল বলেছেন, চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এই
সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ কৃষিক্ষেত্রে বড় ভূমিকা বেয়ে আনবে। কৃষকরা এতে লাভবান
হবে। এই কৌশলগত পদক্ষেপটি কেবল রপ্তানিকারকদের আয়ই বাড়াবে না বরং কৃষকদেরও ক্ষমতায়ন
করবে। কৃষকরা ধান চাষে লাভের আশা দেখবেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক চালের বাজারেও এই সিদ্ধান্ত
বিরাট অবদান রাখবে।
চালের রপ্তানি
শুল্কও কমানো হয়েছে। আগে যেখানে রপ্তানি শুল্কের হার ছিল ২০ শতাংশ, সেখানে এখন সেটি
১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
ভারতে চালের
উৎপাদন হয় মূলত দেশটির পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। গত বছর এসব
রাজ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ
বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
চাল রপ্তানিতে
ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম বাড়তে শুরু করেছিল। সব ধরনের চালের
দাম বেড়েছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ যা গত ১১ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড।
চাল রপ্তানিতে
শীর্ষে রয়েছে ভারত। প্রতিদিন বিশ্ববাজারে যে পরিমাণ চাল কেনাবেচা হয়, তার ৪০ শতাংশই
আসে ভারত থেকে।