কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বীমা সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে মেটলাইফের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই চুক্তির মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংকের ২২ হাজার জনেরও বেশি কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা খরচ, দুর্ঘটনা, অক্ষমতা ও জীবনহানির ক্ষেত্রে বীমা কাভারেজ প্রদান করবে মেটলাইফ।
কর্মীদের জন্য বীমা সুরক্ষা প্রদান কর্মক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপদ এবং মনোযোগী থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বীমা সুরক্ষা সংকটময় সময়ে কর্মী ও তাদের পরিবারের ওপর আর্থিক চাপ যেমন কমায় তেমনি কর্মীদের কল্যাণের প্রতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতিকে প্রমান করে।
কাস্টমাইজড বীমা সেবা, বীমাদাবির দ্রুত পেমেন্ট ও ঝামেলামুক্ত দাবি নিষ্পত্তির আর্থিক সক্ষমতার কারণে নিজেদের কর্মীদের বীমা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে মেটলাইফকে নির্বাচন করে ব্র্যাক ব্যাংক।
সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংক ও মেটলাইফ বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ।
এ চুক্তি নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “আমাদের কর্মীরাই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং আমাদের সকল কাজের মুলে রয়েছে তাদের কল্যান। মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে এই চুক্তি কর্মীদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন, যাতে পেশা ও ব্যক্তিগত জীবন, উভয় ক্ষেত্রেই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও আলা আহমদ বলেন, “দেশের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক শুধু ব্যবসায়িক উৎকর্ষের ক্ষেত্রেই নয়, কর্মীদের সর্বাত্মক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও উদাহরণ তৈরি করেছে। এ অংশীদারিত্ব, প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি আমাদের একটি সুরক্ষিত ও শক্তিশালী ভবিষ্যত গড়তে সহায়তা করার চলমান প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবেই আমরা আমাদের বীমা সেবা দিয়ে আসছি।”
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক ব্যাংক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এসএমই) অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। একই সাথে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের নেতৃস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে ব্যক্তি ও কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের জন্য পরিপূর্ণ ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে।
বাংলাদেশে ৯০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান এবং ১০ লাখেরও বেশি গ্রাহকদের বীমা সেবা প্রদান করছে মেটলাইফ। গত ছয় বছরে মেটলাইফ বাংলাদেশ ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি বীমাদাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।