বাংলাদেশ
ব্যাংক খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে
ঋণ পরিশোধের সময় গণনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নোতুন সিদ্ধান্ত,
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাংকঋণ পরিশোধ না করলে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য
হবে। এরপর অনাদায়ি হিসেবে ওই ঋণ ৯০ দিন অতিক্রম করলে খেলাপি হয়ে যাবে।
গতকাল (২৭ নভেম্বর) খেলাপি
ঋণ বিষয়ে সর্বশেষ নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এ নিয়ম ২০২৫
সালের ১ এপ্রিল থেকে
কার্যকর হবে বলে ব্যাংকগুলোকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাধারণত
নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তি পরিশোধ না করা ঋণকে
“নন-পারফর্মিং” ঋণ হিসেবে চিহ্নিত
করা হয়; যা তিন শ্রেণিতে
ভাগ করা হয়। এগুলো হলো- “সাব-স্ট্যান্ডার্ড” (নিম্নমান ঋণ), “ডাউটফুল” (সন্দেহজনক ঋণ) ও “ব্যাড বা
লস” (খারাপ বা মন্দ ঋণ)। এর মধ্যে
“নিম্নমান” ও “সন্দেহজনক ঋণ”
খেলাপি ঋণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং খারাপ বা মন্দ ঋণ
সহজে আদায়যোগ্য নয় এমন খেলাপি
ঋণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই
তিন ধরনের শ্রেণিকরণ করা বা খেলাপি ঋণ
পরিশোধের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণ
নিয়ে ফেরত না দিলে সেগুলোকে
শ্রেণিকরণ করতে তিন ধাপে সময় গণনা করা হয়। বুধবারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত খেলাপি ঋণের এই তিন ধরনের
শ্রেণিকরণ করার ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের সময়
গণনার মেয়াদ কমিয়ে এনেছে।
বাংলাদেশ
ব্যাংক বলছে, এখন থেকে সব ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ সময়সীমা ৩ থেকে ৬ মাসের
মধ্যে হলে তা “সাব-স্ট্যান্ডার্ড” বা নিম্নমানের ঋণের শ্রেণিকরণ করা
হবে; আগে যা ছিল ৩ থেকে ৯ মাস। অর্থাৎ ৩ মাস সময় কমানো হয়েছে। ঋণ গ্রহিতাদের ঋণ পরিশোধে
আগের চেয়ে সময় কমল তিন মাস। আবার সন্দেহজনক শ্রেণিকরণের ঋণের হিসাব নতুনভাবে করা হয়েছে
ছয় থেকে ১২ মাস; যা আগে ছিল ৯ থেকে ১২ মাস।
এ
সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের
কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।