অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের সামনের পথ কঠিন। তবে আমরা এনবিআরকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছি এবং বিদেশি ঋণ সংগ্রহের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আমি মনে করি, আমরা একটি জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট দিতে পেরেছি। কেউ কেউ বলছে আমরা আগের ধারাই অনুসরণ করেছি, কিন্তু হঠাৎ করে কোনো বিপ্লবী বাজেট দেওয়া সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “বাজেটে একেবারে যে কোনো ইনোভেশন নেই, তা কিন্তু নয়। এটি এখনো উন্মুক্ত। বিভিন্ন মহলের পরামর্শের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বাজেট দেওয়া হবে। বাজেটের উদ্দেশ্য হলো সবার জীবনযাত্রাকে সহজ ও স্বচ্ছ করা, সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং জীবনমান উন্নয়ন।”

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, “আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই—যেখানে অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও দেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে।”

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ আর্থিক খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, এর একদিন আগে সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভি ও অন্যান্য টিভি চ্যানেলে একযোগে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেট (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথমবার, যেখানে বাজেটের আকার হ্রাস পেয়েছে।