কোরবানির ঈদে কাঁচা চামড়ার দরপতনকে ঘিরে আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। উঠেছে সিন্ডিকেট ও অন্তরালের খেলার অভিযোগও। এমন প্রেক্ষাপটে ঈদের দুইদিন পর, সোমবার (৯ জুন) সাভারের চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শনে যান সরকারের শিল্প উপদেষ্টা।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা জানান, এ পর্যন্ত সাভার শিল্পনগরীতে ৩ লাখ ৭৮ হাজার পিস চামড়া এসেছে। রাজধানী ঢাকায় রয়েছে আরও সাড়ে ৭ লাখ পিস চামড়া। বাজারে চামড়ার দর নিয়ে নানা অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “চামড়া শিল্পের সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি বছর ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করা হয়েছে, যাতে চামড়ার সঠিকভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক জায়গায় কোরবানির পশুর চামড়ায় দেরিতে লবণ প্রয়োগ করা হয়েছে, যার কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যায়নি। তবে লবণজাত চামড়ার বাজারমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। সরকার যথাসময়ে তৎপর ছিল বলেই এবার খুব কম সংখ্যক চামড়া নষ্ট হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, ল্যাম্পি স্কিন রোগের প্রভাবে চলতি বছর প্রায় ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা দেশের চামড়া শিল্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
চামড়ার সঠিক মজুত, দাম নির্ধারণ ও সংরক্ষণ নিয়ে এখনো মাঠপর্যায়ে অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও, শিল্প উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সরকার প্রয়োজনীয় নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে চামড়া শিল্পে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা আসে।