আলমডাঙ্গায় স্ত্রীকে কটূ কথা বলার প্রতিবাদ করায় জুয়েল রানা (৩৩) নামের এক ব্যক্তিকে
হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২২ জুন) রাত ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা
উপজেলার আসমানখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় জুয়েল
রানাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জখম জুয়েল রানা আলমডাঙ্গা উপজেলার
আসমানখালী গ্রামের ফিরোজ হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, বিভিন্ন সময় একই গ্রামের সোহেল নামের এক ব্যক্তি জুয়েল রানার স্ত্রী
শেফালী খাতুনকে কটূ কথা ও গালমন্দ করে আসছিল। বুধবার রাতেও সোহেল শেফালী খাতুনকে গালিগালাজ
করে। বিষয়টি জানতে পেরে জুয়েল রানা তার স্ত্রীকে গালমন্দ ও কটূ কথা বলার কারণ জানতে
চাইলে সোহেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে সোহেল তার বাড়ি থেকে একটি
হাতুড়ি এনে জুয়েলের মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত
জখম অবস্থায় জুয়েল রানাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়।
এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের পুরুষ
সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখেন।
জুয়েল রানার স্ত্রী শেফালী খাতুন বলেন, ‘সোহেল আমাকে দেখলে কটূ কথা বলে। কিছু
বলতে গেলে গালিগালাজ শুরু করে। আমার স্বামী তার কাছে আমাকে কটূ কথা বলার কারণ জানতে
চাইলে সে আমার স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে
উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক
ডা. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুধবার রাত পৌনে ১২টার পরিবারের সদস্যরা জুয়েল রানাকে
জরুরি বিভাগে নেয়। জুয়েল রানার মাথায় হাতুড়ি জাতীয় কোক কিছুর চারটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া
গেছে। জখম স্থানে সেলায় দিয়ে তাকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।