রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষকে বানানো হচ্ছে দোকান। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিতসহ দাতা সদস্যের দালিলিক শর্ত ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে একজন মরহুম দাতা সদস্যের ওয়ারিশ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শুকুরেরহাট নামক স্থানে ১৯৪২সালে স্থাপিত হয় শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসাকালীন ১৯৬৬সালে বিদ্যালয়ের জায়গা এবং রাস্তা সংকুলান না হওয়ায় তৎকালীন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনুরোধে স্থানীয় গেনারপাড়া গ্রামের মরহুম মফিল উদ্দিন সরদার বিদ্যালয় সংলগ্ন থাকা তার ৪৯শতক জমি বিদ্যালয় পরিচালনার কাজে ব্যবহারের জন্য ইং ১৬/০৫/৬৬ তারিখে দলিল নম্বর ২৪৯১৯মুলে বিদ্যালয়ে দান করেন। এরপর সেখানে শ্রেণীকক্ষ নির্মান করে প্রায় ৫০ বছর যাবৎ চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। 
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই শ্রেণীকক্ষ বন্ধ করে দিয়ে তাতে দোকান বানাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ওইসব দোকান বরাদ্দের জন্য হাতিয়েও নেয়া হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য মরহুম মফিল উদ্দিনের একমাত্র ওয়ারিশ মকছুদা বেগম দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তি স্বার্থে কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়া শ্রেণীকক্ষকে দোকান বানাচ্ছেন। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিতসহ বিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের বড় রকমের ক্ষতি এবং দাতা সদস্যের দালিলিক  শর্ত ভঙ্গ হচ্ছে। 
সচেতন এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহলেও এনিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, বর্নিত দাতা সদস্য মরহুম মফিল উদ্দিন সরদার শুকুরেরহাট কেন্দ্রীয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা। মরহুম এই দানবীর শুকুরেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ০৬শতক, শুকুরেরহাট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সাড়ে ১২শতক, শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯ শতক ও শুকুরেরহাট ডিগ্রী কলেজে তার একমাত্র ওয়ারিশ মকছুদা বেগম ২৪শতক জমি দান করেছেন। দানকৃত এসকল জমির বর্তমান মুল্য কয়েককোটি টাকা বলে জানা যায়।