দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাজেদুর মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন এই আসামি।
শুক্রবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটার রংপুর নগরীর আলমনগর সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৩ এর উপ-অধিনায়ক মইদুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বগুড়ার জহুরুল নগর এলাকা থেকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মাজেদুর মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক মইদুল ইসলাম জানান, গত ১৪ জুন রাত সাড়ে ১২টার সময় যুবলীগ নেতা মাজেদুর রহমান মাজেদ (৩০) কাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে চিরিরবন্দর উপজেলার আমবাড়ি বাজারে তার পথরোধ করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে চলে যান দুর্বৃত্তরা। এদিকে মাজেদুর বাড়িতে ফিরে আসায় নিখোঁজ ভেবে তার পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন। পরে জানতে পারেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে, কিন্তু সেখানে গিয়ে মাজেদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত যুবলীগ নেতা মাজেদুর রহমানের বাবা আজিমুল হক বাদি হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৩। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামি মাজেদুর মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতারে বগুড়ার জহুরুল নগর আবাসিক এলাকায় শুক্রবার মধ্যরাতে অভিযান পরিচালনা করে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার মাজেদুর মিয়া দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মৃত ফয়জুল হকের ছেলে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মাজেদুর মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। হত্যার সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্র হাসুয়া ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে যুবলীগ নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। মাজেদুর মিয়ার নামে থানায় দুটি অস্ত্র মামলাসহ বেশ কিছু মামলা থাকার কথাও জানিয়েছেন র্যাব-১৩ এর উপ-অধিনায়ক।