× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভালুকায় টাকার জন্য সৎ মেয়েকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

২৬ জুন ২০২২, ০৯:১৬ এএম

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি নির্মানাধীন কারখানার সীমানা প্রাচীরের ভিতরের মাটিচাপা অবস্থায় অজ্ঞাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। ওই কিশোরীর নাম মিনু আক্তার (১৬)। টাকা না দেয়ায় সৎ মেয়ে মিনু আক্তারকে শ্বাস রোধে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখে শফিকুল ইসলাম। এই ঘটনায় নিহতের সৎ বাবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করাহয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামে অবস্থিত প্রস্তাবিত তিব্বত ফ্যাক্টরীর সীমানা প্রাচীরের ভেতরে একটি ছোট দুচালা ঘরের পাশে দুই হাটু বের হওয়া মাটিচাপা অবস্থায় ওই কিশোরীর লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেয়। পরে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিখুড়ে  অজ্ঞাত ওই কিশোরীর অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ভালুকা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন। শফিকুল ইসলাম নিহত মিনু আক্তারের সৎ বাবা। গ্রেফতারের পর তাকে জিঞ্জাসাবাদে টাকা না দেওয়ায় সে তার সৎ মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বিকার করেন। ওইদিন বিকালেই মডেল থানা পুলিশ তাকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে, তার জবান বন্দীগ্রহনের পর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শফিকুল ইসলামকে জিঞ্জাসাবাদের সময় তার সৎ’ মেয়েকে হত্যার ঘটনায় তার সাথে জড়িত আরেক জনের নাম প্রকাশ করেন।

মডেল থানা পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার জমিরদিয়া এলাকা থেকে অপর আসামী রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত রিপন মিয়াকে পুলিশ রোববার (২৬ জুন) বিকালে আদালতে প্রেরণ করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, শফিকুল ইসলামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তবে, সে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় বসবাস করতেন। বেশ কয়েক বছর আগে সৎ মেয়ে মিনুকে মেনে নিয়ে

মাহমুদা আক্তারকে বিয়ে করেন শফিকুল ইসলাম। মাহমুদা আক্তার গার্মেন্টসে চাকরী করতেন ও শফিকুল ইসলাম ভাঙারীর ব্যবসা করতেন। গার্মেন্টসে অনেক দিনকাজ করায় মাহমুদা আক্তারের এক লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা জমা হয়। ওই টাকা দিয়ে মেয়ে মিনুর নামে ডিপোজিট করার পরিকল্পনা করে মা মাহমুদা। বিষয়টি শফিকুল জানতে পেরে মাহমুদা আক্তারের কাছে টাকা চান। তবে, মাহমুদা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল তার বন্ধু রিপনকে নিয়ে সৎ মেয়ে মিনুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ জুন মা মাহমুদা আক্তার বাড়িতে না থাকায় রাতে ঘুমন্ত মিনুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাশের জঙ্গল ফেলে দেন। পরদিন আবারও রাতে ওই মরদেহ একই এলাকার একটি কারখানায় বাউন্ডারির ভিতর মাটি গর্ত করে পুঁতে রাখেন। এদিকে, মিনুকে চাপা দেওয়া মাটি বৃষ্টির পানিতে সরে গিয়ে তার পা বেড় হয়ে আসে। এভাবে ১৭ দিন পার হলে মরদেহ পুরোটাই ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা বৃহষ্পতিবার সকালে মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এই ঘটনায় ওই দিন রাতেই পুলিশ

বাদী হয়ে ভালুকা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলার প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.