ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ১৫৯ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে। এতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৮৯ শতাংশ।
অনুমোদিত বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ইবির দাবিকৃত ২১০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিপরীতে নিজস্ব আয় ৯ কোটি সহ কমিশন ১৫৯ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিকট ইবির দাবিকৃত ২০০ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার বিপরীতে কমিশন নিজস্ব আয় ৮ কোটি ১ লক্ষ টাকা সহ ১৫৮ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দেড় কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে গবেষণায় অপ্রতুল বরাদ্দ নিয়ে অসন্তোষ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, গবেষণা কাজের জন্য উন্নতমানের ল্যাব এবং ও সুযোগ-সুবিধা না থাকায় প্রতিযোগিতামূলক গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন তারা।
গবেষণায় বরাদ্দ কম নিয়ে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা জামাল বলেন, এটাকে গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দই বলা যায় না। বিভাগগুলোতে যে ব্যবহারিক করানো হয় তারজন্য যে অর্থ দরকার তা এ বরাদ্দ দিয়ে হয় না। এটা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। এত কম বরাদ্দ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা সম্ভব নয়। এ জন্য গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি মনে করি সরকার এখন আগের তুলনায় গবেষণা খাতে বেশি বরাদ্দ দিচ্ছে। তবে এ টাকা পর্যাপ্ত না। আমাদের আরও বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন। বরাদ্দ বাড়লে গবেষণা ক্ষেত্র আরও বেশি উন্নত হবে। প্রয়োজন হলে আমরা সম্পূরক বাজেটে আরও বেশি বরাদ্দ চাইবো। আমরা গবেষণাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি, এ খাতকে প্রাধান্য না দিলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সম্ভব না।