দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরে প্রায় ২৭ বছর ধরে ঘোরাফেরা করছেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। দীর্ঘদিনেও পরিবারের কেউ খোঁজ নেয়নি এ নারীর। ভারসাম্যহীন এ নারী উপজেলা সদরে বিগত প্রায় ২৭ বছর আগে আসেন। প্রথমের দিকে অনেকে তার সাথে কথা বলে তার পরিচয় ও ঠিকানা জানার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তার ভাষা কেউ বুঝতে পারেন না। ফলে তার পরিচয় সনাক্ত করতে কেউ পারেনি।
নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর আলম বলেন, আমেনা এ উপজেলায় আসার পর থেকে তিনি সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন স্থান, উপজেলা সদরের বাজারের বিভিন্ন দোকানের বারান্দা, দোকানের সামনের ফুটপাত ও বাজারের রাস্তাগুলি ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে থাকেন। দিনের পর দিন আপন মনে করে যাচ্ছেন এ কাজ। তাকে নিষেধ করলেও তিনি বাধা নিষেধ মানেন না। বরং তার কাজে বাধা দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। সন্ধা ঘনিয়ে এলে কোন দোকানের বারন্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। এভাবেই তিনি উপজেলা সদরে জীবনের ২৭টি বছর অতিবাহিত করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম জানান- তার নাম পরিচয় জানা না থাকায় আমেনা নামটি এলাকাবাসী দিয়েছেন। অনেকেই তাকে জটি পাগলী বলেও ডাকেন। আসলে তার নাম পরিচয় কেউ জানেন না। আমেনার বর্তমান বয়স প্রায় ৫৫ বছর। মানসিক ভারসাম্য হলেও তিনি কারও সাথে খারাপ আচরন করেন না। ফলে মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও আমেনা সবার প্রিয় একজন নারী। বাজারের সকলেই তাকে খাবার-পোষাক দেন। অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা করান।
আমেনা এখন বয়সের ভারে কিছুটা নুয়ে গেছে। আর কিছুদিন পর হইত সে চলাফেরা করতে পারবেন না। তখন কে নিবে তার দায়িত্ব? এই প্রশ্ন এলাকাবাসীর।