নদী খননের অতিরিক্ত মাটি নদীর পাশের ব্যক্তিগত মালিকানাধীর জমিতে রাখায় দীর্ঘদিন থেকে তিন খন্দ আবাদ করতে পারছেন না জমির মালিকরা। ফলে জমি থেকেও জমিতে অতিরিক্ত মাটি থাকায় আবাদ করেতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।
গেল ২০২১ সালে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বকশীগঞ্জ হাটের উত্তর পাশ হতে লালমাটির ঘাট পর্যন্ত ৩.৮কিলোমিটার নলেয়া নদী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল.জি.ই.ডি) আওতায় খনন করা হয়। নদী খননের সময় নদীর ধারে মাটি রাখার পাশাপাশি পাশে থাকা জমিগুলোতেও মাটি রাখা হয়।
এসময় মৌখিকভাবে নিষেধ করলে অল্প সময়ের মধ্যে মাটি সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু নদী খননের প্রায় দের বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সরানো হয়নি জমিতে রাখা অতিরিক্ত মাটি। এতে নদী পারের প্রায় দুইশতাধিক কৃষক তাদের জমিতে অতিরিক্ত মাটি থাকায় জমিতে কোন ধরনের আবাদ করতে পারছেন না।
উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামের তাজু মিয়া, সাজু সরকার, জেলাল প্রামানিক, আনোয়ার হোসেন, বোয়ালীদহ গ্রামের সোহেল রানা, মিজানুর রহমান, রুস্তম আলীসহ নলেয়া নদীর দুইপার্শ্বে জমির মালিকগণ অভিযোগ করেন, নদী খননের সময় তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে অতিরিক্ত মাটি রাখা হয়েছে। জমিতে অতিরিক্ত মাটি থাকায় গেল তিন খন্দ থেকে তারা তাদের জমিতে কোন আবাদ করতে পারছেন না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা ।
এবিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরে নদী খননের অতিরিক্ত মাটি স্থানান্তরের আবেদন করলেও এখন পযর্ন্ত মেলেনি কোন সমাধান। দ্রুত জমিতে অতিরিক্ত মাটি সরানোর দাবি তাদের।
এব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল.জি.ই.ডি) সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজ জানান, ২০২১সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন “সারা দেশে পুকুর খাল উন্নয়” প্রকল্পের আওতায় নলেয়া নদী ২য় খন্ড খনন করা হয়। নদীর দুইপার্শ্বে জমির উপরে থাকা অতিরিক্ত মাটি বৃষ্টি ও বন্যায় ধুয়ে খালে পড়ায় এবং খালের গভীরতা কমিয়ে খাল পুণরায় মাটি দ্বারা ভরাট হওয়ায় গত ৩মে ২০২২ সালে নদীর দুই পার্শ্বে ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্ট জমির মালিকগনের ভোগদখলী জমির উপরে অতিরিক্ত মাটি তাদেরকে ব্যক্তি উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার আহবান করা হয়েছিল। কিন্তু ওদিনেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আহবানটি স্থগিত করা হয়।