খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মানিকছড়ি ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা’র জরাজীর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় উপজেলার এই মানিকছড়ি ইসলামীয় দাখিল মাদ্রাসাটি। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মাদ্রাসার টিনসেড ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে গত ২০ বছর ধরে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই টিনের চালা দিয়ে ভিতরে পানি পড়ে। এতে ভিজে যায় অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ শিক্ষার্থীদের বই-খাতা।
জানা গেছে, এই মাদ্রাসা থেকে প্রতি বছর জেডেসি, দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় অন্তত ১০০ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় ১৫০’র মতো শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ নিয়ে লেখাপড়া করছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
২০০২ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই জরাজীর্ণ টিনসেড ভবনেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বৃষ্টি আসলে টিনের চালা দিয়ে ভিতরে পানি পড়ে। এতে করে ভিজে যায় বই-খাতা। তখন শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসে থাকাও অনেক কষ্টের হয়ে যায়। এতে করে আমাদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রুত মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মানিকছড়ি-ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছি। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও অফিসের কার্যক্রম। নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম আরও বেগবান করতে অতি শিগগিরই মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মানিকছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর মাদ্রাসাটি এমপিও হয়েছে।
আশা করছি খাগড়াছড়ির এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীনের আন্তরিকতায় মাদ্রাসার ভবনটি খুব শিগগিরই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।