চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউপি‘র নবনির্বাচিত মেম্বার নিজের অর্থে নয়ানগর গ্রামে গার্ডওয়াল নির্মাণ করে দিয়েছেন ৷ ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরপরেই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে নিজ উদ্যোগে এই গার্ডওয়াল নির্মাণ করেন তিনি ৷ এতে ওই গ্রামের ১০ হাজারের অধিক মানুষের যাতায়াতের কষ্ট দূর হয়েছে। নয়ানগর বেরীবাধঁ সংলগ্ন ব্রিজ হতে বকাউল বাড়ী পর্যন্ত ৫০ মিটার গার্ডওয়াল নির্মানে তার খরছ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা ৷
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পদে গত ২৮ নভেম্বর বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী এলাকায় রয়েছে তার বেশ জনপ্রিয়তা তাই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন ৷
বহুদিন যাবত এখলাছপুর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের একমাত্র রাস্তাটির বেড়ীবাধ হতে বকাউ বাড়ী পর্যন্ত দুপাশে খাল হওয়ার কারনে পাকা রাস্তাটি দেবে ও সড়কের মাঝখানে বড় বড় গর্তের সৃস্টি হওয়ায় সংস্কারের অভাবে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল ৷ মোঃ মিজানুর রহমান ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজ উদ্যোগে এই রাস্তার পাশে গার্ডওয়াল নির্মাণের উদ্যােগনেন ৷
গার্ডওয়াল নির্মাণের ফলে এখন রাস্তাটি সংস্কার করা হলে সহজেই নয়ানগর গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ যানবাহন ও পায়ে হেটে চলাচল করতে পারবে ৷
নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা কাসেম সিকদার বলেন, এই গার্ডওয়াল নির্মাণের মধ্য দিয়ে মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করলেন নতুন মেম্বার মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার এ জন্য গ্রামবাসী তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
স্থানীয় মুদি দোকানদার ইব্রাহীম বলেন, ‘মেম্বার হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের টাকায় এমন কাজ অন্য কেউ করেছেন কি না, সেটা আমার জানা নেই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিজ অর্থায়নে গার্ডওয়াল নির্মানকারী এখলাছপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, ‘জনগণ আমাকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আমি জনগণের সেবা করতে এসেছি। সরকারি বরাদ্দ পেয়ে গার্ডওয়ালটি নির্মাণ করতে অনেক সময় লাগবে। তাই গ্রামবাসীদের কষ্টের কথা ভেবে আমি নিজ অর্থে গার্ডওয়াল নির্মাণ করেছি ৷ গ্রামবাসীর দুঃখ–কষ্ট দূর করতে আমার প্রচেষ্টা সর্বদা চলমান থাকবে।’ আমি সবসময় জনগনের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ ৷