দশমিনা উপজেলা থেকে বাউফল, দুমকি, পটুয়াখালী সড়কের সরকারী এআরটি ডিগ্রি কলেজের সামনে দশমিনা খালের ওপর নির্মিত চার কোটি টাকার সেতু নির্মানে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
সেতুটি নির্মান কাজের শুরু থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি তারা। স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, সেতুটি নির্মান শুরুর পর থেকেই নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও তারা আমলে নেয়নি।
বর্তমানে ওই সেতুর দুই পাশে দুইশ ৬৬ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মানে খুবই নিম্ন মানের ইট খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। মোঃ মাসুম হাওলাদার বলেন, সেতুর বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিলে দ্রুত সেই ফাটল সিমেন্ট দিয়ে মুছে ফেলেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, চার কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সড়ক ও জনপদ (সওজ) কর্তৃপক্ষের ওই সেতু নির্মানের দ্বায়িত্ব পায় পটুয়াখালীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউনুস এ্যান্ড ব্রাদার্স।
সেতুর নির্মান কাজের তদারকির দ্বায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ প্রকৌশলী মোঃ সাগর বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী সরিয়ে নেওয়া হবে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর কামরুল হাসান বলেন, ঢাকায় ল্যাবে টেষ্ট করে সেতু নির্মান কাজে নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে কোন প্রকার নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে না।
পটুয়াখালীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউনুস এ্যান্ড ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ ফিরোজ হোসেন সেতু নির্মানে অনিয়মের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মানের জন্য এক নম্বর ইট ও খোয়া কিনেছি। কোন খারাপ ইট খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে না।