× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে জেটির সল্পতায় লেগে থাকে জাহাজের জট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

০১ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৮ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে পর্যাপ্ত জেটি না থাকায় পণ্যবাহী কার্গো থেকে মালামাল ওঠা-নামায় চলছে ধীর গতি। এতে বহাল তবিয়তে আছে নৌবন্দরের ব্যবসায়ীরা। তবে আরো ২টি জেটি নৌবন্দরে স্থাপন করা হলে ভেড়া কার্গো ও বাল্ক হেড থেকে পণ্য ওঠানো- নামানোতে আরো সহজতর হবে বলে দাবী বন্দর ব্যবসায়ীদের।

আশুগঞ্জ নৌবন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে আন্তর্জাতিক ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট ঘোষণা করে। তারপর থেকেই জাহাজের মাধ্যমে আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়া শুরু হয়। তারজন্য আশুগঞ্জের এই আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে দু’টি জেটি স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে একটি জেটি স্টিলের ও অপরটি পাকা। কিন্তু বর্তমানে পণ্যের চাহিদা ও পণ্য আনা-নেওয়ার নৌযান বেড়ে যাওয়ায় নৌবন্দরে থাকা দু’টি জেটিতে পণ্য উঠা-নামা করাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে নৌবন্দর ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, নৌবন্দর গড়ে ওঠার পর প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫টি নৌযান ভীড়তো। আর এসব নৌযানে সার সিমেন্ট রড বালি পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌপথে আনা-নেওয়া করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর ঘোষণার পর গত কয়েক বছরে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশি বিদেশি ৬০-৬৫টি কার্গো ও বাল্কহেড নৌ বন্দরে ভীড়ে। আর এসব নৌযান থেকে বিভিন্ন মৌসুমে গড়ে ৩০ থেকে ৭০ হাজার বস্তা সিমেন্ট, আমদানিকৃত ৫০/৬০ হাজার বস্তা সার ও কয়েক হাজার টন রড পাথর ও বালি উঠা-নামা (লোডিং আনলোডিং) করাতে হয়। কিন্তু বন্দরে দু’টি জেটি সামলিয়ে উঠতে পারছে না। যার কারণে তৈরি জট এবং মালামাল ওঠা-নামা করার ধীরগতিসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে ফেরিঘাট রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ তৌহিদুল ইসলাম নাসির জানান, আশুগঞ্জের এই আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৫ শত থেকে দেড় হাজার টন রড লোড-আনলোড করা হয়। কিন্তু বন্দরে দু’টি জেটি থাকায় জাহাজের মালামাল উঠা-নামা করতে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই আরো দু’টি জেটি যদি বন্দরে স্থাপন করা হয় তাহলে হয়তো জাহাজের জট ও মালামাল ওঠা-নামা করার সমস্যা থেকে কিছুটা লাঘব পাওয়া যাবে।

আশুগঞ্জ ফেরিঘাট পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুমেল মুন্সি বলেন, বন্দরে নৌযান বেড়েছে। কিন্ত জেটি সেই দু’টিই রয়ে গেল। এতে ব্যবসায়ীরা মালামাল ওঠা-নামা করাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের কয়েকটি আন্তর্জাতিক নৌবন্দরের মধ্যে একটি হচ্ছে আশুগঞ্জ নৌবন্দর। এই বন্দরে ব্যবসায়ীদের দূর্ভোগ লাঘবে কমপক্ষে আরো দু’টি জেটি স্থাপনের প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবলিউটিএ) এর আশুগঞ্জ-ভৈরব নৌবন্দরের বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডবলিউটিএ’র উপ-পরিচালক রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায়ীদের জেটির দাবী সম্পর্কে অবগত আছি। তাই নৌ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে জেটির সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।




 







Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.