× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মিষ্টির দোকানে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা

ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি

০৪ আগস্ট ২০২২, ০৪:৫০ এএম

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মিষ্টির দোকান গুলোতে প্রতি কেজি মিষ্টির খালি প্যাকেটের ওজন ২০৫ গ্রাম। মিষ্টি তৈরী কারখানাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে মিষ্টি। এতে প্রতারণা শিকার হচ্ছে ক্রেতা সাধারন।

ত্রিশাল পৌর শহরের বেশ কিছু মিষ্টির দোকান ঘুরে দেখা যায়, মিষ্টির দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় অতিরিক্ত দামে মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে। এ সব মিষ্টির কার্টুনের উপরের কভার হালকা থাকলেও নীচের ভারী। একেকটি কার্টুনের ওজন ১৩৫ থেকে ২০৫ গ্রাম। সাধারণ মিষ্টির দোকান গুলোতে প্রতি কেজি মিষ্টির মূল্য ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। তবে অভিজাত মিষ্টির দোকান গুলোতে প্রতি কেজি মিষ্টির মূল্য ২৩০ থেকে ৬০০ টাকা।

ক্রেতারা মিষ্টি ক্রয় করতে গেলে কার্টুনসহ মিষ্টি ওজন করা হয়। এতে ক্রেতারা ১ কেজি মিষ্টি কিনলেও প্রকৃত পক্ষে পান ৭৫০ থেকে ৮৫০ গ্রাম মিষ্টি। কেউ নিজের দোকানের নামে আবার কেউ তৈরী কার্টুন বাজার থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে বিক্রি করা হচ্ছে মিষ্টির দামে। ডিজিটাল পাল্লায় মিষ্টির ওজনের সাথে কৌশলে মিষ্টির কার্টুনও ওজন দেয়া হয়। এতে কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ২১০ গ্রাম মিষ্টি কম দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি মিষ্টির দোকানে ওজনে কারচুপি প্রকাশ্যে চলছে। মিষ্টি তৈরী কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখযায় এর অবস্থা আরও খারাপ।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে দই, মিষ্টি। এরআশপাশে দুর্গন্ধে কোন ভাবেই থাকা যাচ্ছেনা। মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করলেও তাদের কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা। পৌর শহর ইউনিয়নের বাজারগুলোতে প্রায় শতাধিক মিষ্টির দোকান রয়েছে। এ ওজন নিয়ে প্রায়ই ক্রেতাদের সাথে দোকান মালিকদের বাক-বিতন্ডা ঘটছে।

কয়েক জন ক্রেতারা জানান, দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় দোকানের মালিকরা ইচ্ছা মাফিক মিষ্টির দাম আদায় করছেন। মিষ্টি ওজনের সময় প্যাকেট সহ পরিমাপ করছেন। আবার দইয়ের ক্ষেত্রে পাতিলের ওজনসহ বেশী দামে দই বিক্রি করছেন। আমরা দোকানদারদেও কিছু বললে দোকানী বলে বেশী দামে নিলে নেন না নিলে না নেন। এটি দেখার যেন কেউ নেই। আমরা অনেকেই বেকায়দায় পড়ে বেশি মূল্য দিয়ে মিষ্টি ক্রয় করছি।

হাবিবুর রহমান নামে এক মিষ্টি ক্রেতা জানান, আমি রসের মিষ্টির দোকান থেকে প্রায় সময় মিষ্টি, দই কিনে থাকি। একদিন কৌতহল জাগলো মিষ্টির প্যাকেটের ওজন সম্পর্কে। পরে প্যাকেট ওজন করে দেখি ১৫০ গ্রাম। কর্মচারীকে বললাম প্যাকেটসহ পরিমাপ করছেন কেন সে উত্তরে বললো মালিক জানে। মালিকের সাথে কথা বললে সে বলে আমরা এভাবেই বিক্রি করি।

মিষ্টি কিনে ভোক্তভোগী আজাহারুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ত্রিশালে ঢাকা থেকে রসের মিষ্টি দোকান আসছে। মনে করেছিলাম অনেক ভাল মিষ্টি। বাসার জন্য ৩৫০ টাকা কেজির মিষ্টি নিয়ে ছিলাম। বাসায় আনার পর বাচ্চারা কেউ মিষ্টি খাচ্ছেনা। পরে নিজে খেয়ে দেখি মিষ্টি কয়েক দিনের বাসী। দুর্গন্ধে কোন ভাবেই খাওয়া যাচ্ছেনা। এই মিষ্টির দোকান নিয়ে আরো অনেকের অভিযোগ রয়েছে।

ত্রিশাল বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সরকার বলেন, মিষ্টির দোকানের কারচুপি সম্পর্কে আমার কাছে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। আমি নিজের এর শিকার। আমি রসের মিষ্টি দোকান থেকে ৪ পাউন্ড পেস্টিকেক নিয়েছিলাম ৩০০ টাকা পাউন্ড। কেক কয়েক দিনের বাসী ও অনেক শক্ত ছিল। কোন ভাবেই খাওয়ার উপযোগী নয়। অন্য মিষ্টির দোকানের থেকে তাদেও মিষ্টির দামও অনেক বেশী। মিষ্টির দোকান গুলোতে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা দরকার।

উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সরকারী নির্দেশনার চেয়ে বেশী প্যাকেটের ওজনে মিষ্টি বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মিষ্টি তৈরী করলে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ছাড়া এদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার নেই।


 



 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.