গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নিতাই চন্দ্র ও হৃদয় চন্দ্র নামের দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। তারা দুজনে গুরুত্বর আহত হয়ে ৫ দিন যাবত গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । এ ঘটনায় আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এজাহার দায়ের করলেও মামলা রিকর্ড করছেনা পুলিশ।
৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন আহত নিতাই চন্দ্রের ভাগিনা জয় কুমার সরকার ।
লিখিত বক্তব্য তিনি উল্লেখ করেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের খংগুয়া গ্রামের তার মামা নিতাই চন্দ্রের সাথে একই এলাকার অধীর চন্দ্র গংদের পূর্ব থেকেই জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। আমার মামা গত ৩০ জুলাই বিবাদের বিষয় গুলো় নিয়ে মিমাংসার উদ্দেশ্যে রামজীবন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুদা মাস্টারের কাছে যায়। পরে বিষয়গুলো চেয়ারম্যানকে জানিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার সময় অরবিন্দ চন্দ্রের বাড়ির সামনে এলে অধীর চন্দ্রের ছেলে শিপন কুমার ও সুদিপ কুমার মৃত অনিল কুমারের ছেলে অজিত কুমার ও অংকন কুমার, মৃত অতুল চন্দ্রের ছেলে সিন্ধু চন্দ্র ও অরবিন্দ চন্দ্রসহ তাদের বাড়ির মহিলারা এবং অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিশোটা দিয়ে এলোপাতারিভাবে মারডাং করে তারা আমার মামা নিতাই চন্দ্র ও হৃদয় চন্দ্রকে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মৃত প্রায় অবস্থায় গাইবান্ধা জেনারেল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। বর্তমানে তারা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরও উল্লেখ করেন, অধীর চন্দ্র গংরা তার মামার পরিবারকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে, এখনও তাদের পরিবারসহ নিকট আত্মীয়-স্বজনদের মারধরের হুমকী, ধামকী দিয়ে যাচ্ছে।
তাদের ভয়ে পরিবারটি বর্তমানে আতংকে দিন কাটাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা এতটাই শক্তিশালী যে, পরিবারটি ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে নিরাপত্তা ও আইনগত সহায়তা চেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ তাদের এজাহারটি মামলা করছেনা।
এসময় জয় কুমার তার মামার পরিবারটির নিরাপত্তা চেয়ে আইনগত সহায়তার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।