জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ বাবা আব্দুল করিম। ঘটনাটি উপজেলার রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে মারধর করেন তাদের ছেলে হামিদুল (২৮)। মাদকের জন্য বাবার কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে চড়-থাপ্পরসহ বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর করে বলে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়। বৃদ্ধ আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী রীনা আক্তার (৬০) বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব। পরে কেন্দুয়ায় থানায় অভিযোগ করেন।
আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী রিনা আক্তার জানান, তাদের ছেলে হামিদুল মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সেবনকারী এবং সন্ত্রাসী। ছেলের মারধরসহ নির্যাতনের কারণে ১২দিন ধরে নিজের বাড়িতে থাকতে পারছেন না বলে জানান। তারা আরও বলেন, নেশার টাকা না পেলেই প্রচন্ড মারধর করে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে টাকার জন্য প্রচুর মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাই ইউএনও এবং ওসি স্যারের কাছে লিখিত নালিশ করেছি। যাতে ৬ মাস অন্তত হামিদুলকে জেলে থাকতে হয়। অভিযুক্ত হামিদুলের মা রিনা আক্তার বলেন, তার বাবার চেয়ে আমাকে বেশি মারধর করে ছেলে। আমাদের ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শফিকুল গাছ থেকে পড়ে ২ হাত ভেঙ্গে এখন পঙ্গু। মেঝো ছেলে রফিকুল সাধারণ কাজ করে তার সংসার চালায়, ছোট ছেলে হামিদুলকে বিয়ে দিয়েছি। তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর ধরে হামিদুল মাদকাসক্ত হয়ে আমাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আমরা অতিষ্ট হয়ে অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আকন্দ বলেন, আব্দুল করিমের অভিযোগ সত্য। হামিদুল নেশা করে। সে মাসকা ইউনিয়নে বিয়ে করেছে।তার স্ত্রীকেও মারধর করার অভিযোগে মাসকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বাঙালী আমার কাছে তার নামে অভিযোগ করে ছিলেন।তার বাড়ির লোকদেরকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম, তারাও ব্যর্থ হয়েছেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন পিপিএম বলেন, বিষয়টির দায়িত্ব দিয়েছি পেমই তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর সুমনকে, সে ব্যবস্থা নেবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম বলেন, এ জন্য থানায় নিয়মিত মামলা করতে হবে। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবো।