সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আমডাঙ্গা এলাকায় সোনাকান্ত বিলের এমন অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন প্রকৃতি প্রেমীরা। শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিলের চারপাশে পদ্ম ফুলে ফুলে ভরে গেছে। যত দূর চোখ যায়-শুধু গোলাপি রঙের আভা। দিনের আলোর স্পর্শে এ রঙ যেন আরও ঝলমলে হয়ে ওঠে। পদ্মের এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসছেন বিলে। চোখ ভরে দেখছেন, স্মৃতি হিসাবে রাখতে ছবিও তুলছেন। তবে বিলে যাতায়াতে নৌকা এবং রাস্তা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে কয়েকজন দর্শনার্থীরা জানান।
স্থানীয়রা বলেন, তাদের কাছে এটি ‘সোনাকান্ত বিল নামেই পরিচিত। গত ২ বছর ধরে বর্ষাকালে এ বিলে গোলাপি রঙের অসংখ্য পদ্ম ফুল ফোটে। এমনিতে পদ্ম ফুল সারা বছর থাকে না। বর্ষা কালেই শুধু দেখা যায়। তবে গত দুই বছর ধরে প্রকৃতপ্রেমীদের কাছে এটি ‘আমডাঙ্গার পদ্মবিল নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় হাফিজুর রহমান বলেন, বিলে ফুটে থাকা পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে এসেছি খুবই ভালো লাগছে। এই বিলে প্রবেশের জন্য নৌকার ব্যবস্থা এবং রাস্তা নেই। তবে নৌকা থাকলে দর্শনার্থীরা ফুলের কাছে গিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারতো। পাশাপাশি স্থানীয়রাও নৌকা চালিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারতো। এখন লোকজন হেঁটেই বিলে গিয়ে ফুলের সৌন্দর্য দেখে ফিরে আসছে। এতে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। পদ্ম ফুল ফোটার সময়ে বিলটা সংস্করণ করা গেলে দর্শনার্থীরা আরও বেশি উপভোগ করতে পারতেন। গত কয়েক বছর আগে এই বিলে পদ্ম ফুল দেখার পর থেকে তিনি প্রতি বছর বর্ষার সময় সোনাকান্ত বিলে আসার চেষ্টা করে।
স্থানীয় হাবিব বলেন,অনেকে আবার পদ্ম ফুল ছিড়ে নষ্ট করে ফেলে জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন একই এলাকার আশিক বলেন, পদ্মফুলের কাছে যাওয়া মাত্রই স্থানীয়রা ফুল না ছেঁড়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু যখন কেউ থাকে না, তখন দর্শনার্থীদের অনেকে যে যার মত ফুল ছিড়ে নষ্ট করে ফেলে। এ বিষয়টা খুবই খারাপ লাগে। একটা সময় আমাদের দেশে অনেক পদ্ম দেখা যেতো। কিন্তু বর্তমান সময় বিল জলাশয় ভরাট করে ফেলার কারণে পদ্ম ফুল বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। পদ্মফুলের অনেক ওষুধীগুণও রয়েছে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন বলেন, প্রতিবছর বর্ষায় বিভিন্ন বিলে পদ্ম ফুলের দেখা মেলে। এই পদ্মফুলে ঔষধের গুণাগুণ রয়েছে। কৃষি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার কমে যাওয়াতে বিলে শাপলা, পদ্ম ফুলের দেখা মিলেছে।