রাজশাহীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উপ-পরিচালক পাট-বীজ কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ও সিবিএ নেতা হারুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা, পরে তা রাজশাহীর স্থানীয় ও বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
পরবর্তীতে প্রভাবশালী এই সিবিএ নেতা হারুনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত ভার দেওয়া হয় আরেক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বিএডিসি রাজশাহীর যুগ্ম-পরিচালক জুলফিকার আলী'র হাতে। এনিয়ে বিএডিসিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই কর্মকর্তা যদি তদন্ত করেন তাহলে হারুন অনায়াসে পার পেয়ে যাবেন বলে আশংকা করছেন তারা।
তদন্ত সুত্রে জানা যায়, বিএডিসি পাট বীজ অফিসের ডিহিউমিডি ফায়ার এর ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার কাজের পাট-বীজ এর তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ও সিবিএ নেতা হারুন ও তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। আবার সেই দূর্নীতির তদন্ত ভার পাওয়া জুলফিকার আলী তৎকালীন সময়ে পাট বীজের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিয়েছেন এ কাজের টাকার ভাগ।
অপরদিকে রেলগেট সংলগ্ন বীজ বিপনন অফিসের ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মার্কেটিং এর কাজের সময়ও জুলফিকার আলী মার্কেটিং এর উপ-পরিচালক এর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখানেও মোটা অংকের টাকা ভাগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই জুলফিকারের নিজ জেলায় জামাতের নেতা বলে তিনি বেশ পরিচিতি। তার ছত্রছায়ায় হারুন সিন্ডিকেট এই অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন বলে ভুক্তভোগী সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএডিসিসিঃর যুগ্ম-পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, আমি কোন অনিয়ম দুর্নীতি করিনি এবং এ অনিয়মের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নই। আপনি অফিসে এসে আমার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন। সিবিএ নেতা হারুনের অভিযোগের তদন্তের বিষয়েও তিনি বলেন, তদন্ত নিয়ম অনুযায়ী করা হবে আর বিএডিসি হেড অফিসের সংস্থাপন শাখা থেকে আমাকে এ তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে, যা আমি সঠিকভাবে পালন করবো বলে আশা রাখছি।
বিএডিসি হেড অফিসের সংস্থাপন শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।