সাত বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের মধ্যমেটুয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ছালেহা। এরপর অনেক কষ্টে দিন কাটতে থাকে তার।
জরাজীর্ণ একটি ঝুপড়িতে থাকতেন। অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করে কোনোমতে তিন পেটের আহার জোগাতেন। তার জন্য একটি ঘর করে দিয়েছেন মামুন বিশ্বাস নামের এক যুবক।মামুন বিশ্বাস বলেন, ছালেহার অসহায়ত্বের খবর পেয়ে বিস্তারিত লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেই। পোস্টে যথেষ্ট সাড়া পাই। ফেসবুক থেকে ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা অর্থ সহায়তা পাই। ওই টাকা দিয়ে তার জন্য একটি ঘর করে দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, শুধু ঘরই নয়; লেপ, তোশক, চৌকি, শীতের পোশাক, সেলাইমেশিন, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ ছয় হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে ছালেহাকে।
তার শিশুপুত্র রাকিবের মাদরাসায় লেখাপড়ার জন্য রিফাত নামের একজন এক হাজার করে টাকা পাঠাবেন।ঘর পাওয়ার আনন্দে অসহায় ছালেহা বলেন, আমি দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করতাম। তবে কখনও ভাবিনি যে একখানা ঘর পাবো। এত সুন্দর ঘরে থাকতে পারবো। ঘর, সেলাইমেশিনসহ সব কিছু পেয়ে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি।