× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ডিমলায় অতিরিক্ত দাম ছাড়া মিলছে না সার

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

১৮ আগস্ট ২০২২, ০৭:২৪ এএম

নীলফামারীর ডিমলায় চলতি আমন মৌসুমে সব ধরনের সারের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতি বস্তা সার কিনতে ২০০ থেকে  ৬০০ টাকা পর্যন্ত  বেশি গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। অনেক সময় বাড়তি দাম দিয়েও তা মিলছে না ।ভরা মৌসুমে এই সংকটে দিশেহারা কৃষক।তবে কৃষি বিভাগ বলছে দাম বেশী নিলেই নেয়া হবে ব্যবস্থা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ২০ হাজার ৪৪৩ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায়, আমন রোপণ প্রায় শেষের দিকে।এখন কৃষকরা ব্যাস্ত সময় পার করছেন পরিচর্যায়। রোপনের ২০ দিনের মধ্যে জমিতে সার দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সার সংকট ও দাম বেশী হওয়ায় তা দিতে পারছেন না তারা।ভরা মৌসুমে এই সংকটে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন সংকটের কারনে উপজেলায় প্রায় সব ধরনের সার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০০ থেকে  ৬০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে  বিক্রি হচ্ছে । ৭৫০ টাকার এমওপি সার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ থেকে ১৬০০ টাকায়।টিএসপি ১১০০ টাকার জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত।শুধু নতুন দামের ইউরিয়া বাজারে পর্যাপ্ত পাওয়া যাচ্ছে।
আফিজ উদ্দিন, আফতাজ, জিকরুলসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অভিযোগ বাড়তি দাম দিলেও মিলছেনা সার। হঠাৎ সারের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষক।তারা জানান, এমনিতেই কৃষিতে প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে গুনতে পিঠ আমাদের দেয়ালে ঠেকেছে। তার উপর অতিরিক্ত দাম বড়লোকরাই বড় লোক হচ্ছে। এক বস্তা সারে ব্যবসায়ীরা লাভ করছে দুইশত থেকে সাতশত টাকা।ডিলার ও খুচরা সার বিক্রেতারা তাঁদের দোকানে যে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রেখেছেন সেই দামে সার বিক্রি করছেন না। তাঁরা প্রতিকেজি টিএসপি ও এমওপি সার ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। 
নুনিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক আফিজ উদ্দিন বলেন, ৮বিঘা জমিতে আমন রোপণ করেছি। সারের জন্য ডিলারদের দোকানে দোকানে ঘুরেও সার নিতে পারিনি। দাম বেশি না দিলে তারা সার দিচ্ছে না।বস্তার গায়ে মুল্য ৭৫০ লেখা থাকলেও প্রতিবস্তা পটাশ সার কিনতে হচ্ছে ১৪০০ টাকা। মুল্য রশিদ চাইলে বলে সার নেই।
ডিলারদের থেকে বাড়তি দামে কিনেও কৃষকদের পর্যাপ্ত সার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলছেন খুচরা ব্যাবসায়ীরা।
বাবুরহাট বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা রতন কুমার সরকার বলেন, ইচ্ছা করে সারের দাম বেশি নেওয়া হয় না। ডিলাররা আমাদের কাছে বেশি দাম নেওয়ায় আমরাও বেশি দামে সার বিক্রি করছি। কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশনা সত্তেও ডিলাররা সাব ডিলারদেরকে নির্ধারিত মূল্যে সার দেয়না। 

বাবুরহাট বাজারের সারের ডিলার আসাদুজ্জামান জানান, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় বাজারে সারের সংকট তৈরি হয়েছে। এ সুযোগে কোনো কোনো ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা অন্য উপজেলা থেকে সার কিনে বেশি দাম নিতে পারে বলেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দর আলী বলেন, বাজারে এমওপি সারের সঙ্কট আছে,তবে অন্যান্য সার পর্যাপ্ত আছে। কোনো ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে সার বিক্রি করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.