ধনু নদের বিভিন্ন স্থানে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। ফলে বিলীন হচ্ছে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীর গ্রামের পর গ্রাম। ঘর বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অসংখ্য পরিবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠলেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বের হলে পাওয়া যায় না কাউকেই বলছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, জেলার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীর সবচেয়ে বড় নদ ধনুর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের কবলে বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। নিঃস্ব হয়ে মানবতার দিন কাটছে অসংখ্য পরিবারের। এরই মধ্যে অন্তত বেশ কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এমতাবস্থায় ভাঙ্গন তীরবর্তী এলাকা গুলোতে স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দখিয়ে জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করেই দিনরাত ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
গেল সপ্তাহে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খালিয়াজুরীর চাকুয়া, মেন্দিপুর ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। চাকুয়া নূরালীপুর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দেখা যায় দিনের বেলায়ও লেপসিয়া বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও স্থানীয় ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেনের নামে ড্রেজার মেশিনে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। তাদের নেতৃত্বে পার্শবর্তী সুনামগঞ্জ থেকেও বালু নিতে নৌকা নিয়ে আসছেন অনেকেই। অবৈধ জানা সত্বেও কোন কর্মসংস্থান না থাকায় শুধুমাত্র পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বালু উত্তোলন করছে জানান সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।
এ ব্যাপারে চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বালু উত্তোলন হচ্ছে, তবে আমার ইউনিয়নের সীমানার বাহিরে। এদিকে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠলেও মোবাইল কোর্টে বের হলে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় না কাউকে বলছে, খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম। এদিকে নদ-নদী ভাঙ্গনের বড় কারণ অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন।
এগুলোর ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন বলে জানান, নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার জাহান। ভাঙ্গন প্রতিরোধে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে স্থানীয় প্রশাসন। এমনটাই প্রত্যাশা হাওরবাসীর।