ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মোড়লহাট জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে ভূল হয়েছে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বোর্ডের ভূলের মাশুল গুনতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। আর এটি সংশোধন করার জন্য প্রত্যেক জনের কাছে সংশোধনী ফি নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে রেজিষ্ট্রেশন কার্ড পাওয়া যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে ও প্রধান শিক্ষকের দেওয়া তথ্য মতে, এবারে সে প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ১২৪ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে সকল শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভূল এসেছে। ছেলে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে নাম ছেলের হলেও ব্যবহার করা হয়েছে মেয়ের ছবি। আর অধিকাংশ রেজিস্ট্রেশন কার্ডে নো ইমেজ দিয়ে ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।পরবর্তীতে আবার নতুন করে সংশোধনের জন্য বোর্ডে তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হয়। আর সংশোধন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে দুইশো করে টাকা চাওয়া হয়।
বোর্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূলের মাশুলে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তারা। কর্তৃপক্ষের ভূলের মাশুল বহনে নারাজ পরীক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন,আমার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে আমার বান্ধবীর ছবি দেওয়া হয়েছে। ভূল হলো বোর্ড আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এখন আমাদের কাছে সংশোধন ফি চাওয়া হচ্ছে। এটি কেমন ধরনের নিয়ম। তাদের ভূলের মাশুল আমরা কেন গুনব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন,ভূল করলেন তারা অথচ আমাদের বলা হচ্ছে টাকা না দিলে রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হবেনা৷ এটা কেমন কথা৷ আমরা এর সঠিক সমাধান চায়। আমরা কোন ধরনরে টাকা পয়সা দিতে পারবনা৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোড়লহাট জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলায়মান আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমরা বোর্ডে পরীক্ষার্থীদের সকল সঠিক তথ্য পাঠিয়েছি। বোর্ড ভূল করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। এবারে পরীক্ষার্থী ১২৪ জন সবার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ভূল করেছেন তারা। সেজন্য সংশোধনের জন্য আবার কাগজগুলো পাঠানো হয়েছে। আর বোর্ডে সংশোধনের জন্য দুইশত টাকা করে লাগে। সেটির জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকা চাওয়া হয়। অনেকে দিয়েছে আর অনেকে দেননি৷ তবে সংশোধনীর নতুন রেজিস্ট্রেশন কার্ডগুলো আমাদের হাতে চলে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানের ভূলে শিক্ষার্থীদের সংশোধনী ফি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বালীয়াডাঙ্গী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, এমন কোন বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন খবর পায়নি। আর এখানে যোগদান করার মাত্র কয়েকদিন হল। তবে দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে এটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷