চলতি রোপা আমন মৌসুমে সারের কৃত্তিম সঙ্কটে চরম বিপাকে পরেছেন নেত্রকোনার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার মজুদ থাকলেও নানা বাহানায় সঙ্কট দেখিয়ে কৃষকদের কাছে বাড়তি টাকায় সাড় বিক্রির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যদিও সাথেসাথেই ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার ১০ উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩২হাজার ৫শ ৮০ হেক্টর। গত দুই সপ্তাহের টানা প্রচন্ড তাপদাহে আবাদ কিছুটা ব্যাহত হলেও সম্প্রতি বৃষ্টিপাত হওয়ায় এরইমাধ্যে ১লাখ ২৫হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপন শেষ হয়েছে। এই মূহুর্তে কৃষকের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিভিন্ন জাতের পর্যাপ্ত সার। কিন্তু এই সময়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অসাধু খুচরা ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার মজুদ থাকলেও নানা বাহানায় বাজারে সঙ্কট সৃষ্টি করে কৃষকদের কাছে বাড়তি টাকায় সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একাধিক।
কৃষকরা বলছেন, এ বছর জ্বালানি তেল ও সারে মূল্য বৃদ্ধিতে এমনিতেই উৎপাদন ব্যায় বেড়েছে কয়েকগুন। এরমাঝে সারের কৃত্তিম সঙ্কটে দাম বাড়িয়ে দেয়া মরার উপর খারার ঘা হিসেবে দাড়িয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা। এদিকে জেলায় সারের কোন সঙ্কট নেই, পর্যাপ্ত সার রয়েছে জানিয়ে কৃত্তিম সঙ্কট তৈরী রোধে এরইমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় ১৯টি মোবাইল কোর্টে ১লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হরা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নূরুজ্জামান।
এদিকে বাড়তি টাকায় সার বিক্রির একাধিক অভিযোগ উঠেলেও সাথে সাথেই নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। সার্বক্ষনিক বাজার পর্যবেক্ষন করছে স্থানীয় প্রশাসন, মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। কৃত্তিম সার সঙ্কট দেখিয়ে ডিলারদের বাড়তি টাকা আদায় প্রতি রোধে কঠোর হবে প্রশাসন। এমনটাই প্রত্যাশা কৃষকদের।