বিগত ২০১৬ এবং ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের মামলায় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান বলেন, হেফাজতের মামলায় প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে সুকৌশলে নিরীহ জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত তল্লাশির নামে হয়রানি করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। যার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে কলুষিত হচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম ২৮ মার্চ ২৪ ঘন্টার হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলওয়ে স্টেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পৌরসভা ভবন, প্রেস ক্লাব ভবন, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বাড়ী ঘরে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করে। যা নিন্দনীয় ও অমার্জনীয়। উল্লেখিত ঘটনাবলী ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। সেখানে বিএনপিকে দোষারূপ করে কোনরুপ প্রচার প্রচারনা ছিল না। আজও সেই সকল ভিডিও ফুটেজ খুঁজলে সত্যতা পাবেন। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে অহেতুক হয়রানি ও গ্রেফতার হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ পর্যন্ত দুই হতে আড়াইশত বিএনপি নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে হেফাজতের মামলায় জেলে পাঠিয়েছে অভিযোগ করেন।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সহ-সভাপতি এড. শফিকুল ইসলাম, এড. গোলাম সারওয়ার খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলার বিএনপির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম লিটন সহ জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।