নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জনসম্মুখে সড়কে নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগের সদস্য মো. হুমায়ুন কবিরের (৪৫) পাশে দাঁড়ালো নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হুমায়ুনকে দেখতে যান এবং নগদ আর্থিক সহায়তা করেন।
এসময় একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুনের নির্যাতনের যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তা মর্মান্তিক। মানুষ কিভাবে পারে সড়কে ফেলে বুকের মধ্যে লাথি মারতে। আমি চাই আসামিরা আইনের আওতায় আসুক।
এরপর একরামুল করিম চৌধুরী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলামকে মুঠোফোনে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক মামলা গ্রহণ করে ১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হুমায়ুন বাড়ি নির্মাণ কাজের জন্য চৌমুহনী বাজারের ডিবি রোডে রড কিনতে গেলে মনির মুহুরীর নেতৃত্বে যুবলীগ নামধারী অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী ফাহাদ, শাহাদাত, রায়হান ও সোহান সহ ১০-১২ জন তাকে পিটিয়ে মাথায় আঘাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা (হুমায়ুন করিব) বাড়ি নির্মাণ কাজ করতে গেলে হামলাকারীরা তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে বলে জানান। গুরুত্বর অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরা সবাই দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য বলেও তারা অভিযোগ করেন।