× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন রংপুরের ২৬ শিক্ষক

রংপুর ব্যুরো

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৪৬ এএম

সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ (ডিআইএ) রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের প্রথম পর্বের তালিকা প্রকাশ করেছে। ডিআইএর প্রতিবেদন বলছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে জাল সনদধারী শিক্ষক আছেন ৪৪৩ জন। প্রথম পর্বে ১৯৩ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। 

গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত তালিকায় জাল সনদধারীদের মধ্যে রংপুরের আট উপজেলার মধ্যে ৪ উপজেলার ২৬ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে। যাদের একেকজন প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর প্রতিষ্ঠানগুলোতে  জাল সনদ ব্যবহার করে শিক্ষকতা করে আসছেন।
প্রকাশিত ১৯৩ জনের নামের তালিকার মধ্যে রংপুরের সদর উপজেলায় ৯ জন রয়েছে। যাদের মধ্যে দুইজন এমপিওভুক্ত, বাকি সাতজন এমপিওভুক্ত নন। এরা হলেন;  মুলাটোল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ে সহকারী শিক্ষক জ্যোতি প্রকাশ শর্মা, হিন্দু ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক দীপক কুমার বর্মা, শ্যামপুর ডিগ্রী কলেজের বাংলা প্রভাষক শামীমা আক্তার, মাহিগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের  প্রভাষক আবিদা সুলতানা, বাংলা বিভাগের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফৌজিয়া বেগম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক জেসমিন আরা জাহান, সেকেন্দার বাদশা, দর্শন বিভাগের প্রভাষক হাবিবা আক্তার।
পীরগাছা উপজেলার ৩ জনের মধ্যে দুজন এমপিওভুক্ত, একজন এমপিওভুক্ত নয়। এরা হলেন; পীরগাছা কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক জগদীশচন্দ্র রায়, শরীর চর্চা শিক্ষক মশিউর রহমান, অন্নদানগর বালিকা উচ্চ  বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।
মিঠাপুকুরের এমপিওভুক্ত দুজন ও একজন এমপিওভুক্ত নন। এদের মধ্যে ছড়ান ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক নুরুল ইসলাম ও মির্জাপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক একরামুল হকের নাম রয়েছে তালিকায়।
এছাড়া গঙ্গাচড়া উপজেলার তালিকাভুক্ত ৮ জনের মধ্যে দুইজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত, বাকী ছয়জন এমপিওভুক্ত নয়। 
এরা হলেন- বড়বিল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা সুলতানা, হাজী দেলওয়ার হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মনজয় কুমার রায়। দুইজনই এমপিওভুক্ত। পাকুড়িয়া শরীফ কলেজের দর্শনের প্রভাষক রেজাউল করিম, ইসঃ শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, ইসঃ শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক আব্দুল বাতেন, গঙ্গাচড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিষয়ের প্রভাষক সুলতানা আফরোজা, ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক খালেকুর রহমান, গজঘন্টা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক নারায়ণ কুমার রায়। তারা এখনো এমপিওভুক্ত হননি।
এসকল জাল সহকারী কয়েকজন শিক্ষকদের সঙ্গে মুঠোফোনের  মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এই শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতিসহ সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্ত টাকা ফেরত দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি  জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। এখনো অফিসিয়াল কোন চিঠি পাইনি। চিঠি হাতে এলে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম বলেন, আমাদের কাছে এ রকম কোনো তালিকা নেই। যদি মন্ত্রণালয় থেকে কাগজপত্র আসে, তবে অবশ্যই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
এদিকে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (ডিআইএ) প্রফেসর অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে আমাদের কাছে ১০ বছরের একটি হিসাব চেয়েছেন। এজন্য তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে এনটিআরসি সনদ, কম্পিউটার সনদ, গ্রন্থাগার সনদসহ এ রকম কিছু বিষয়ে ওই শিক্ষকদের সনদ ঠিক পাওয়া যায়নি। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.