নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) নামের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক মো. সাইদ (২০) নামের এক জনকে আটক করেছে। ঘটনাস্থল সিআইডি ও পিবিআই পরিদর্শন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাসনিয়া হোসেন অদিতা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ইউনিয়নের আবুল খায়ের পেশকার বাড়ির মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। সে নোয়াখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
অদিতার মা স্কুল শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা রুবি বলেন, আমি স্কুল থেকে এসে দেখি আমার ঘরে তালা মারা। আমি তালা খুলে ঢুকে দেখি মেয়ের রুমের ফ্যান টিভি চলে কিন্তু গেট বন্ধ। আমি খুলে দেখি মেয়ে অর্ধ-উলঙ্গ এবং গলা কাটা। তার হাতের রগ ও কাটা হয়েছে।
রাজিয়া সুলতানা রুবি আরও বলেন, পাশের বাড়ির নয়নের ছেলে ইয়াছিন কয়েকবার তাকে আগেও ধর্ষণের কথা বলেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। তার বাবা নাই আমি তাকে বহু কষ্টে লালন পালন করেছি। তার সাথে কারো সম্পর্ক ছিল না।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আকরামুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এছাড়াও সিআইডি পিবিআই পরিদর্শন করেছে। আমরা দেখেছি ছাত্রীর নিজ শয়ন কক্ষে তার গলা কাটা ও হাতের রগ কাটা লাশ পড়ে আছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানা যায়নি।
মো. আকরামুল হাসান আরও বলেন, ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা আমরা এখনই বলতে পারছিনা। মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। আমরা গভীরভাবে বিষয়টি দেখছি। এবিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।