শারদীয় দূর্গাপূজার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মাঝে নেত্রকোনায় মন্ডপে মন্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় কমিয়ে আনা হচ্ছে আলোকসজ্জা। যদিও এতে কমতি নেই আনন্দ আয়োজনে।
এবার মন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তেমন লাভ নেই এই পেশায়। শুধুমাত্র বংশ পরম্পরায় এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে বলছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এদিকে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ। হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার আরো কয়েকদিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে নেত্রকোনার মন্ডপ গুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি। রাতদিন এক করে চলছে প্রতিমার গায়ে রং তুলির আচর। এবার মন্ডপের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিমা কারিগররা। সেইসাথে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এ পেশায় তেমন লাভ নেই শুধুমাত্র ঐতিহ্য ও বংশ পরম্পরায় কাজ করতে হচ্ছে তাদের বলছেন কারিগররা।
দীর্ঘদিন ধরেই সম্প্রীতি বজায় রেখে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে জাঁকজমক পূর্ণ ভাবেই নেত্রকোনায় পালিত হয় দুর্গা উৎসব। এখানকার পূজা উপভোগ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থীসহ পূজারীরা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীকে বরনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভক্তরা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিধি নিষেধ থাকায় আলোকসজ্জা কিছুটা কম হলেও আয়োজনে কমতি থাকবে না। প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি স্থাপন সহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হচ্ছে জানান আয়োজকরা।
এদিকে পূজোতে সার্বিক নিরাপত্তায় থাকছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ। দেবী এবার আসছে গজে, যাবেন নৌকায়। জেলার ৫২৬ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এরমাঝে সদর উপজেলার ১১৪ টি ও পৌরসভাতে রয়েছে ৫৭ টি পূজা মন্ডপ।