ফরিদপুরের সালথায় বিভিন্ন জায়গায় বালু উত্তোলন বেড়েই চলেছে। ফলে পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে, পাড়ের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ওইসব এলাকার নদীর পাড়ের বসতবাড়ী সহ গাছপালা হারিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ীরা। কোথাও কোথাও ব্যক্তি মালিকানা আবার কোথাও বিল হতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামের বিলে আফজাল নামক এক ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছে বলে জানা যায়। পাশেই শহিদুল ও মিজানের ড্রেজার। বড় বালিয়ায় খাল হতে মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছে। পাশেই আরো একটি ড্রেজার দেখা যায়। এছাড়াও বালিয়া দরগা গট্টি, আটঘরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বলে জানা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ড্রেজার চালকেরা মাঝে মধ্যে বন্ধ রেখে সুযোগ মতো সময় চালায়। আবার কেউ কেউ রাতের অন্ধকারে এই ড্রেজার চালায়।
এ ব্যাপারে নদী বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু ধামরাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ড্রেজার প্রকাশ্যে ব্যবহারের দ্বারা বালুমহাল আইনকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করা হচ্ছে।
সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেন, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
উল্লেখ্য, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী- সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।