বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে রামগঞ্জে বেড়েছে নারকেল ও গুড়ের কদর। পূজায় অতিথি আপ্যায়নে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পরিবেশন করা হয় যার অন্যতম হচ্ছে নাড়ু।
এ নাড়ু তৈরির মূল উপকরণ হচ্ছে নারকেল ও গুড়। আর এই পূজায় বাঙালির ঐতিহ্য নারকেলের তৈরি নারু ও গুড়ের তৈরি মোয়া-মুড়কি।
এসবের প্রধান উপকরণ নারকেল, গুড় ও চিনি। পূজা উপলক্ষে প্রতিটি নারকেলের দোকান ও গুড়ের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দুর্গা পূজা ও শেষ হবে ৫ অক্টোবর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে। পূজার এই ৫ দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি বাড়িতে জামাই থেকে শুরু করে সকল অতিথি আপ্যায়ন হয় হরেক রকমের নাড়ু, মুড়ি, মুড়কিসহ নানা মিষ্টান্ন দিয়ে। তার মধ্যে নারকেলের নাড়ু হচ্ছে অন্যতম ও সুস্বাদু। যার ফলে সারাদেশে একবারে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় নারকেল ও গুড়ের কদর কিছুটা বেড়ে যায়। দুর্গাপূজাকে ঘিরে স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও নারকেল বিক্রি করে থাকেন।
বর্তমান বাজারে এক জোড়া নারকেল বিক্রি হচ্ছে ছোট বড় অনুযায়ী ১৮০ টাকা থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত। আর গুড় বিক্রি হচ্ছে ১শ থেকে ১২০ টাকা কেজি। আবার চিনি একটু কমে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়াও ৯০ টাকা দরের গুড় কেজি প্রতি ১২০ টাকা, ৮০ টাকার খই ১২০ টাকা, ৫০ টাকার চিড়া ৬০ টাকা দরে ও চিনি ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মুড়ির দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
সোনাপুর বাজারের নারকেল ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বেচা কেনা ভালো হচ্ছে। নারকেল ক্রেতারা বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় এখন একটু বেশি দাম হলেও দুর্গা পূজায় নারকেল প্রয়োজন যার জন্য কিনতে হচ্ছে। অতিথি অপ্যায়নে দুর্গা পূজায় বিভিন্ন ধরনের নাড়ু পরিবেশন করা হয়ে থাকে। অন্য সময়ে নারকেল তেমন কেনা হয় না কিন্তু পূজার সময় বাড়ির লোকজন ও ছেলে মেয়েদের চাহিদা থাকায় নারকেল কিনতে হয়। এরপরেও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সারা বছরই পারিবারিক প্রয়োজনে টুকটাক নারকেল কিনে থাকেন বলে জানান শিপন চন্দ্র কুমার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি ব্যবসায়ীরা গাছ মালিকদের কাছ থেকে প্রতি জোড়া নারকেল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা করে কিনছেন। সেটি খুচরা বাজারে হাত ঘুরে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। অন্যদিকে, সাধারণ গুড় ৮০ দরে বিক্রি হলেও নারু ও মোয়ার জন্য বিশেষ গুড় বলে ১২০ টাকা দরে সেই গুড় বিক্রি হচ্ছে।