কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসদরের লোটাস চত্ত্বর থেকে বহমান ডাকাতিয়া শাখা খালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন ম্যাক টাওয়ার এলাকা থেকে ষ্টিলব্রিজ পর্যন্ত আঁধা কিলোমিটার এলাকায় ৮টি স্থানে মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা।
এতে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে ওই এলাকার নার্সারী, কৃষি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঁধের কারণে নাসার্রী মালিক, কৃষক, ব্যবসায়ী ও নাঙ্গলকোটের মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ার কতৃপক্ষেন অর্ধ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
সরেজমিনে ঘুরে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ম্যাক টাওয়ার এলাকা থেকে ষ্টিলব্রিজ পর্যন্ত প্রায় আঁধা কিলোমিটার এলাকায় মনির হোসেন, মাষ্টার নিজাম উদ্দিন মজুমদার, মাষ্টার ইব্রাহিম, আবুল বশর, ইউনুছ’সহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ডাকাতিয়া শাখা খালের বিভিন্ন স্থানে ৮টি বাঁধ তৈরি করে বহুতল ভবন নিমার্ণের কাজ করে আসছে। এসব বাঁধের ফলে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে এলাকার কৃষক, নাসার্রী মালিক, ব্যবসায়ী ও মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ারসহ কয়েক'শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ম্যাক টাওয়ারের মালিক এ.কে.এম আশ্রাফুল আলম উজ্জ্বল বলেন, নাঙ্গলকোট পৌরসদরের অধিকাংশ পানি এ খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়। এ খালটির প্রস্থ প্রায় ১১ ফুট। খালের পাশের ভবন নিমার্তারা নিজেদের মতো করে খালে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। যার ফলে এলাকার কৃষিজমি, কয়েকটি নাসার্রী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আমার মালিকানাধীন নাঙ্গলকোটের মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ারে পানি প্রবেশ করে টাওয়ারের সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়ে। প্রকল্প এলাকায় পানি প্রবেশ করার কারণে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আমি বিষয়টি পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করে এর প্রতিকার চেয়েছি।
জালাল নাসার্রীর স্বত্বাধিকারী হরিপুর গ্রামের আবুল বশর বলেন, বাড়ি নিমার্তারা তাদের সুবিধার্থে খালে বাঁধ নিমার্ণ করে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ করায় আমার নাসার্রী ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি এর প্রতিকার চাই।
আরিফ নাসার্রীর স্বত্বাধিকারী হরিপুর গ্রামের আরিফুর রহমান বলেন, বহুতল ভবন নিমার্তারা তাদের ইচ্ছা মতো খালে বাঁধ নিমার্ণ করায় পানিতে আমার নাসার্রী তলিয়ে যায়। এতে প্রায় আমার ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর প্রতিকার চাই।
অভিযুক্ত ভবন নিমার্ণকারীদের একজন জোড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন মজুমদার বলেন, আমি খালের উপর কোন বাঁধ নিমার্ণ করিনি। পিছনের জমির মালিক এ বাঁধ নিমার্ণ করেছে।
পৌর মেয়র আব্দুল মালেক বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। খবর নিয়ে খালের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।