নোয়াখালীর চাটখিলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ৩ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পরকোট ইউনিয়নে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের পূর্ব পরকোট গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে নজরুল ইসলাম প্রকাশ হোসেন (৪০), টিপু সুলতানের ছেলে সুলতান মাহমুদ (৩৫) ও সাহাপুর ইউনিয়নের গোপাইরবাগ গ্রামের মৃত মাইনুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন (৪০)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত হোসেনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম, সুলতান মাহমুদ ও মুরাদ হোসেনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত হোসেনের নেতৃত্বে পূর্ব পরকোট এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে অবহিত করে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জ্বল রায়সহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে গিয়ে, তাদেরকে বালু উত্তোলন না করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়ে আসে।
বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেই চলছিল। এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার এ বিষয়ে অভিযোগ করে। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও মালামাল জব্দ করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রভাব খাটিয়ে বালু উত্তোলন করায় ৩ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মালামাল বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।