চাঁদপুরের কচুয়ায় বিভিন্ন গ্রামে ৩৮টি মন্দিরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পালন হয়েছে শারদীয় দূর্গাপূজা। যত আনন্দ নিয়ে মা দুূর্গা গজে ছড়ে ধরায় এসেছে সেই আনন্দকে আনন্দময় করে ৫দিন বাবার দেশে অবস্থান করে নৌকায় চড়ে মা দূর্গা মহা দশমীতে চলে গেলেন তার স্বামীর দেশে। মা দুর্গার বিদায়ের আহাজারীতে আকাশ বাতাস যেন ভারী হয়ে সবার মুখ মলীন করে চলে গেছেন। উপজেলার কোয়া,কড়ইয়া,সাচার,পালাখাল ও দোয়াটি, বেদপুর, নাউলা,বাসাবাড়ীয়া সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তরা ধুমধাম করে দেবী মা দূর্গাার এ পূজার আয়োজন করে। এদিকে প্রতিটি পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন,পুলিশ সদস্য ও আনসার বাহিনী নিয়োগের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
দোয়াটি সার্বজনীন মন্দির কমিটির সভাপতি যুগেশ হালদার ও সেক্রেটারী মানিক সরকার জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি পূজামন্ডপে রয়েছে। এতে করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি বলেও জানান তারা। পরিবার পরিজন নিয়ে ভক্তবৃন্দ এসেছেন পূজামন্ডপে।
একাধিক ভক্তরা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় আমরা এবছর ও পরিবার পরিজন নিয়ে দেবী মায়ের আর্শীবাদ কামনায় পূজা পালন করেছি এবং সকলের মঙ্গল কামনা করেছি ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ আমরা এ কথা জানান দিতে পূজা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির তথ্য গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ড.সেলিম মাহমুদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
কচুয়া থানার ওসি মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, শারদীয় দূর্গাপুজাকে ঘিরে সব ধরেনর নিরাপত্তা গ্রহন করা হয়েছিল। প্রতিটি পূজামন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বিঘ্নে কাজ করেছেন এবং এ পর্যন্ত কচুয়ার কোন পূজা মন্ডপে বা আশপাশে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাই নাই।