ময়মনসিংহের গৌরীপুরে খামারের ঘাস খেয়ে শারমিন আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূর চারটি গরু মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার গত রোববার গৌরীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। এর আগে গত শনিবার সকাল থেকে মধ্যরাতের মধ্যে ওই গৃহবধূর বাড়িতে চারটি গরু মারা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শারমিন আক্তারের বাড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের কৃষ্টপুর মহল্লায়। তার স্বামী সেলিম মিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রি। সংসারের অভাব-অনটন থাকায় শারমিনের বাবা আট বছর আগে মেয়ের সংসারে একটি গাভী দেন। গাভী লালন-পালনে বছর ঘুরতেই শারমিনের গোয়ালে গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত কয়েক বছরে তিনি কয়েকটি গরু বিক্রি করেছেন। সর্বশেষ তার গোয়ালে পাঁচটি গরু ছিল। গত শুক্রবার শারমিনের ছেলে বাড়ির পাশে সাইদুল ইসলামের মৎস্য খামার থেকে গরুর খাবারের জন্য ঘাস নিয়ে আসে। ওই ঘাস খাওয়ার পর থেকেই গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। শনিবার সকাল সাতটায় একটি অসুস্থ গাভী মারা যায়। পরে ওই দিন দিবাগত রাত পৌনে বারোটার মধ্যে পর্যায়ক্রমে অসুস্থ আরো দুইটি বকনা গরু ও একটি ষাঁড় মারা যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তিন লাখ টাকার ওপর।
শারমিন আক্তার বলেন, গরুগুলো ছিল আমার আয়ের একমাত্র অবলম্বন। স্বপ্ন ছিল গরু বিক্রি করে ঘর তুলবো। সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। যেদিন খামারের ঘাস গরুকে খাওয়ানো হয় ওইদিন খামারে কীটনাশক ছিটানো হয়েছিল। আমার ধারণা বিষক্রিয়ায় গরুর মৃৃত্যু হয়েছে।
খামার মালিক সাইদুল ইসলাম বলেন, খামারে ওইদিন গ্যাসের ডোজ আর উকুন নাশক ওষুধ দেয়া হয়েছিল। গরু কি কারণে মরছে আমি বলতে পারবো না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজিমুল ইসলাম বলেন, মৃত গরুগুলোর শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে কি কারণে গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন (এসআই) বলেন, গরুর মৃত্যুর খবর শোনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।