× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রংপুরে দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা সম্পর্কিত গণশুনানী

রংপুর ব্যুরো

১০ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৩৮ এএম

দেশে দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, দরিদ্র বিমোচন, মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে আওয়ামী লীগ সরকারের মতো অতীতে কোনো সরকারই এত বেশি গুরুত্বারোপ করেনি বলে জানিয়েছেন সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের (এপিপিজি) একটি প্রতিনিধি দল।

জাতীয় সংসদের দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্পর্কিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে শিক্ষিত হয়ে নিজেদের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সব শ্রেণিপেশার, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও  সম্প্রদায়ের মানুষদের একসঙ্গে নিয়ে দেশকে স্বনির্ভর উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরতে চায়। এজন্য নিজেদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে রংপুর পর্যটন মোটেলে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, দরিদ্র বিমোচন, মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হোক’ শীর্ষক গণশুনানি শেষে সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের (এপিপিজি) প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সম্পর্কিত এপিপিজি গ্রুপের সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, এপিপিজি গ্রুপের সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, পানি সম্পদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরন্নবী চৌধুরী, এপিপিজি গ্রুপের সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, আরমা দত্ত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম রুমানা আলী, এপিপিজি গ্রুপের কো-চেয়ার গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, সেক্রেটারী জেনারেল শিশির শীল।

সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর স্থানীয় সরকার পরিচালক ফজলুল কবীর, অ্যাডভোকেসি রাইটস বেইজড ডেভেলেপমেন্ট প্রোগ্রাম হেকস্/ইপার বাংলাদেশের ম্যানেজার সাইবুন নেসা।  

এসময় দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গাঁরো, সাঁওতাল, মুন্ডাসহ বিভিন্ন ও সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, এনএনএমসি ফাউন্ডেশন, জেলা অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্মসহ সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, আমরা যখন ‌‘কাউকে পিছিয়ে রেখে নয়’ বলে টেকসই উন্নয়নের কথা বলছি, তখন এই জনগোষ্ঠীর অধিকার শতভাগ নিশ্চিত করাই হবে আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এসডিজি বাস্তবায়ন এবং দেশকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ উন্নীত করতে হলে পিছিয়েপড়া সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদা সমূহ নিশ্চিত করা জরুরি। সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলেই জাতীয় সংসদের দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি করে দিয়েছেন।  
 
এরআগে গত রোববার (৯ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদের সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের (এপিপিজি) একটি প্রতিনিধি দল রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের শিমুলঝুড়ি গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার দলিত ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করেন। সেখানে দলিত ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, রীতিনীতি ও নেচে গেয়ে এপিপিজির প্রতিনিধি দলকে বরণ করে নেন।

এসময় দলিত ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। তারা প্রতিনিধি দলের সদস্যদেরকে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, ভাষা, ধর্মাচার, পারিবারিক জীবন ব্যবস্থা সবকিছুতেই ভিন্নতা নিয়ে বসবাসকারী এ জনগোষ্ঠী আজো বাংলাদেশে ভূমির মালিকানা পায়নি। ভূমি উন্নয়নের নামে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তারা দিন দিন ভূমিহীন হয়ে পরছে।

সরকারি সুবিধা বঞ্চিত এ জনগোষ্ঠী বহুকাল ধরে স্থায়ী আবাস ভূমি থেকে বঞ্চিত। এখন তারা প্রতিনিয়ত শোষণ, বঞ্চনা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এদেশে উপজাতি বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে নয় বরং সাংবিধানিকভাবে সমান নাগরিক অধিকারের দাবি জানান তারা।

এসময় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে  কাজ করে যাচ্ছেন। দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে শিক্ষিত হতে হবে। বিনামূল্যে পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছে, সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সুন্দর আগামীর জন্য শিক্ষা-দীক্ষায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।

অন্যদিকে সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ক্ষমতায় আসেন তখন থেকে দেশের উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলিত  ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।  

তিনি লিত  ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে তোমরা ভালো জামা কাপড় পড়ো, স্কুল-কলেজে যাও, মোবাইল ব্যবহার করো। সার্বিকভাবে তোমাদের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। আর এ সবকিছুই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। এই দেশ সকলের দেশ। আমরা সবাই বাঙ্গালী। তাই তোমাদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। জীবনকে অবহেলা করলে হবে না। জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.