ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঘুষ দিয়েও চাকরি পায়নি ফাহিমা খাতুন নামে এক নারী। তিনি প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ফাহিমা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারাইল গ্রামের ইউসুফ বিশ্বাসের মেয়ে।
লিখিত অভিযোগে তিনি দাবী করেন, ২০১৬ সালে মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) হিসেবে যোগদান করেন। প্রথম ধাপে তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি লাভলু হোসেনকে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ দেন। এরপর প্রধান শিক্ষককে দেন ৪ লক্ষ টাকা। পরে আরো টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করতে দিতেন না। বহু কষ্টে পরে আরো দেড় লক্ষ টাকা দিলে শিক্ষক হাজিরা খাতায় সাক্ষর করতে দেন।
এরপর ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বেতন করার নামে এক লক্ষ টাকা ও খুলনা ডিডি অফিসে ঘুষ দেয়ার নামে আরো দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এমপিও ভুক্ত করার শেষ ধাপে এসেও বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক সোহরাব হোসেন ২০ হাজার টাকা গ্রহন করেন।
ফাহিমা খাতুন অভিযোগে উল্লেখ করেন, ধাপে ধাপে তার কাছ থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ করার পরও তার চাকরি হয়নি। তার স্থানে আরেক নারীকে নিয়োগ দিয়ে বেতন করে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম রসুল জানান, তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।