রংপুরে মহানগরে ট্রেনে কাটা পড়ে স্নাতকোত্তরপড়ুয়া শিক্ষার্থী এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে পার্বতীপুর থেকে লালমনিরহাটের বুড়িমারীগামী ৪৬২ নম্বর ট্টেনের নিচে কাটা পরে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার কিছু আগে রেলগেট এলাকায় একটি ছেলের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রেল লাইনে এসে শুয়ে পড়ে মেয়েটি। দূর থেকে অনেকেই তাকে বাঁচাতে চিৎকার করলেও ততক্ষণে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তিন টুকরো হয়ে যায়।
নিহতের বড়ভাই সুমন কুমার বর্মন জানান, চিকিৎসা নিতে ভারতের চেন্নাইয়ে যাওয়ার জন্য সকালে একসাথে মাহিগঞ্জ ভিসা প্রসেসিং সেন্টারে কাগজ জমা করেছেন। বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পর শুনলাম ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে।
মারা যাওয়া ওই তরুণীর নাম শিউলী বর্মণ (২৫)। সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থী ছিলেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বালাকুমার এলাকার ক্ষিতিশ চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
রংপুর রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক আল-আমিন জানান, ট্রেনে কাটা পরে ওই তরুণীর দেহ তিন টুকরো হয়েছে। তবে কি কারনে ট্রেনে কাটা পরে তাঁর মৃত্যু হলো তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।