মেহেরপুরের গাংনীতে পারিবারিক কলেজের ধরে সাবিনা খাতুন(৩০)কে হত্যার পর স্বামী বিদ্যুৎ হোসেন(৪০) এর আত্মহত্যা। সাবিনা খাতুন গাংনী উপজেলার কুমারডাঙ্গা গ্রামের সাত্তারের মেয়ে ও বিদ্যুৎ কুঞ্জনগর গ্রামের হুদাপাড়ার ওলি আহম্মেদ এর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাস আগে কুমারীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে ছাবিনা খাতুনের সাথে কুঞ্জনগর গ্রামের দিনমজুর বিদ্যুত হোসেনের বিয়ে হয়। এটি ছাবিনার দ্বিতীয় আর বিদ্যুতের তৃতীয় বিয়ে। এ বিয়ের পর থেকে দুজনের এ বিয়ে নিয়ে পরস্পরের মধ্যে কলহ চলছিল। এর জের ধরে আজ বুধবার ভোরে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে সাবিনার মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে একাধিক আঘাত করে বিদ্যুত। এসময় সাবিনার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল বিদ্যুৎ ও তার পরিবার। পরে স্থানীয়রা দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে বিদ্যুতের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে বিদ্যুতের লাশ উদ্ধার করে।
গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনজিৎ কুমার নন্দী জানান, দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি হত্যা ও একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হবে ।