শেরপুর সীমান্তে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তীর্থোৎসব ঘিরে বইছে উৎসবের আমেজ। ভারত সীমান্তঘেঁষা বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে সকল প্রস্তুতি। লাখো পূণ্যার্থীর এই উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আয়োজক কমিটির তথ্যমতে, শেরপুর সীমান্তের সাধু লিওর ধর্মপল্লী। পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থযাত্রা। মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া -এই মূলসুরে এবার ২৫তম তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ বিদেশের প্রায় লাখো পূণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থ যাত্রায়।
ধর্মপল্লীর খ্রিষ্টভক্তরা বলেন, ‘করোনার ধকল কাটিয়ে এবারো মহাসমারোহে হবে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব। প্রায় এক মাস আগে থেকে কাজ শুরু হলেও, এখন চলছে আলোকসজ্জাসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।’
নালিতাবাড়ীর বারোমারী খ্রিষ্টান মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী জানান, আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ভক্তসমাগম বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
বারমারী ধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি ও সাবেক ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকার বনানীর মেজর সেমিনারীর প্রাক্তণ রেক্টর রেভারেন্ট ফাদার গাব্রেল কোরাইয়া।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, তীর্থোৎসবকে ঘিরে পুরো এলাকাজুড়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত কয়েকদিন থেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে পুরো পল্লী।