ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ডিলার এবং ব্যবসায়ীরা জানান , ঘুষের টাকা নেওয়ার পর এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে তার ডিলারি বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দেন এ কর্মকর্তা।
জানা যায়, চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে হতদরিদ্রদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৪১ জন ডিলারের প্রত্যেকের কাছে তিনি অফিশিয়াল খরচ দেখিয়ে ১০০০ টাকা করে মোট ৪১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। খোলা বাজারের ৪ জন ডিলারের কাছে নেন টনপ্রতি ২০০ টাকা। চলতি মৌসুমে ধান ছাঁটাই হয় ৩৮৭ মেট্রিক টন, সেখানে প্রতি টনে ২০০ টাকা করে মোট ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অফিস সুত্র জানায়, এর আগে ডিমলা খাদ্য গুদামের চাল চুরির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে বরখাস্ত করা হয় পরিচ্ছন্নকর্মী তহিদুল ইসলামকে।কিন্তু খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক তার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তহিদুলকে পুনরায় নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করে দেন। বর্তমানে ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে কর্মরত আছেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক সরকারী নিয়ম না মেনে কর্ম দিবসে সপ্তাহে দুই দিন অফিস করেন এবং কর্মস্থলে আসেন দুপুরে চলে যান বিকেল ৩টার মধ্যে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক বলেন, টাকাটা অফিসের অনলাইনের খরচ বাবদ নেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগে টাকা গ্রহণের অভিযোগটি সত্য নয়।