নরসিংদীর মনোহরদীতে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বোরো ধান, কলাবাগান ও বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।গাছপালা ভেঙ্গেপড়ে ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুরো উপজেলার জমির ফসল মাটির সঙ্গে নুয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলাগাছ, পান বরজ এবং পেঁপে বাগানের।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার লেবুতলা শুকুন্দী, দৌলতপুর, পৌরসভা ও চন্দনবাড়ী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভেঙে গেছে বাগানের কলাগাছ, পান বরজের মাচা । অনেক খেতের পেঁপে গাছ ভেঙে পড়েছে।
তবে কী পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, ঘুর্ণিঝড়ের ফলে রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ, কলা, পেঁপে, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
লেবুতলার তারাকান্দী গ্রামের কলা চাষী আবুল বাচ্চু মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে তার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। তিনি জানান, তার দুই বিঘা জমির প্রায় ১২০০ কলা গাছের মধ্যে ১ হাজারের অধিক গাছ ভেঙ্গে গেছে যার প্রতিটি গাছেই ছিল কলার ছড়ি। তার প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
মনেহরদী পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি বাড়িতে বড় কড়ই গাছ পড়ে টিনের ঘর মাটির সাথে মিশে গেছে। বাড়ির মালিক শামীম জানান, তার এই টিনশেড ঘরটিতে একটি পরিবার ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করত। গতকাল রাত ১০ টার দিকে ঝড়ে গাছটি ভেঙ্গে ঘরের উপরে পড়লে তারা কোন মতে বের হয়ে যায়। আল্লাহর অশেষ রহমতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এতে কারো কোন ক্ষতিও হয়নি। তবে ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্রের ভেঙে গেছে। বাড়ির মালিক শামীম আহমেদ জানান, ঘর ও আসবাবপত্রে মোট ৫ লক্ষাধিক টাকার লোকসান হয়েছে।
কৃষি ফসলের ক্ষতির বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা করছেন। কয়েক দিন না গেলে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা সম্ভব হবে না। সূর্যের দেখা মেলায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এতে ক্ষতি কিছুটা পোষানো সম্ভব হবে।’